১৩০ রানের লক্ষ্য। খুব বড় কিছু নয়। টি-২০ ফরম্যাট হলে তো এমন লক্ষ্য তাড়া করতে বড়জোর ঘাম ঝড়াতে হয় দুই-একজনকে। কিন্তু ডিপিএলে তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটে এমন লক্ষ্যও রূপ নেয় ঝড়ের স্টেজে। যেন ছোট লক্ষ্য মানেই বড় ঝড়ের আমন্ত্রণ!
পারটেক্সের বিপক্ষে এমনই এক ইনিংস খেললেন তামিম। বল হাতে কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন শেখ মেহেদী হাসান। তার ঘূর্ণিতে ১২৯ রানেই গুটিয়ে যায় পারটেক্স। ১০ ওভারে মাত্র ৩৪ রান দিয়ে তুলে নেন ৪ উইকেট। সঙ্গ দেয় শরিফুল-রাজার জোড়া উইকেট।
আরও পড়ুন: এখনই অবসর নিয়ে ভাবছি না, এটা শরীরের ওপর নির্ভর করছে: ধোনি

তবে এরপর যা দেখল বিকেএসপি — সেটা একেবারে একক শো। ১৩০ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী তামিম। বাউন্ডারির ফুলঝুরি, ছক্কার ঝড়। যেন প্রতিটা শটে বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন — এই ম্যাচ শেষ করব নিজের স্টাইলে।
মাত্র ৫৯ বলে তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ১০৩ রান। তার ইনিংসে ছিল ১০টি চার আর ৭টি ছক্কার ছড়াছড়ি।
অন্য প্রান্তে অধিনায়ক সাইফ হাসান ২৬ রান করে অপরাজিত থেকে গেছেন। দুজন মিলে দলকে এনে দিলেন ১০ উইকেটের দুর্দান্ত জয়। ১৮.৩ ওভারেই শেষ ম্যাচ।

ডিপিএলে এবার শুরু থেকেই ছন্দে ছিলেন তামিম। কিন্তু একটা বিষয় তাকে বারবার আটকে দিয়েছিল — দল যদি খুব ছোট লক্ষ্য পায়, সেখানে বড় ইনিংস খেলার সুযোগ কম।
আরও পড়ুন: রুপগঞ্জের হয়ে আবারও মাঠে ফিরলেন নাসির
তার আগের ইনিংসগুলো দেখলেই বোঝা যায় — ৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অপরাজিত ৬৫ রান। ৭০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অপরাজিত ৩৫ রান। ১৫৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬৮ রান।

এবারও লক্ষ্য ছিল মাত্র ১৩০। তবে এবার আর থামেননি তামিম। অপেক্ষার প্রহর ঘুচিয়ে ঝড় তুলেই তুলে নিলেন চলতি আসরে নিজের প্রথম ডিপিএল সেঞ্চুরি।