চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে শুরুটা জিম্বাবুয়ের দাপটেই কেটেছিল। তবে দিনের শেষ ভাগে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেয় স্বাগতিক বাংলাদেশ। তাইজুল ইসলাম ও নাইম হাসানের ঘূর্ণিতে শেষ সেশনে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় সফরকারীরা। শেষ পর্যন্ত ক্রেইগ আরভিনের দল ৯ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ২২৭ রান। দুর্দান্ত বোলিংয়ে তাইজুল তুলে নেন পাঁচ উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। প্রথম টেস্টে জয় নিয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে থাকা জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় টেস্টেও শুরুতে ধরে রাখে নিজেদের আধিপত্য। ফলে সিরিজে টিকে থাকতে বাংলাদেশের সামনে ছিল বড় পরীক্ষা।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় সেশনেও চালকের আসনে জিম্বাবুয়ে
দিনের শুরুতে দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারান দেখেশুনে এগোতে থাকেন। তবে নতুন বল হাতে দারুণ লাইন ও লেংথে বোলিং করে টাইগারদের প্রথম সাফল্য এনে দেন অভিষিক্ত পেসার তানজিম সাকিব। দলীয় ৪১ রানে ৩৩ বলে ২১ রান করা বেনেটকে ফিরিয়ে দেন তিনি।
এরপর নিক ওয়েলচকে সঙ্গে নিয়ে এগোচ্ছিলেন বেন কারান। তবে লাঞ্চের ঠিক আগে দ্বিতীয় ধাক্কা দেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ফলে প্রথম সেশন শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৮৯ রান। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট শিকার করেন তানজিম ও তাইজুল।
দ্বিতীয় সেশনে দৃঢ়তা দেখান নিক ওয়েলচ ও শন উইলিয়ামস। সাবধানী ব্যাটিংয়ে দুজনেই তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। এই সেশনে কোনো সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ। চা-বিরতির সময় জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ১৬১ রান, অপরাজিত ছিলেন ওয়েলচ (৫৪) ও উইলিয়ামস (৫৫)।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে চাপে রেখে লাঞ্চে জিম্বাবুয়ে
তবে শেষ সেশনে বদলে যায় দৃশ্যপট। লাঞ্চের পরই রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন নিক ওয়েলচ। এরপরই বল হাতে জাদু দেখাতে শুরু করেন নাইম হাসান। প্রথমে ফেরান সদ্য নামা অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনকে। এরপর থেকেই যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপ।
শেষ দিকে আবারও মাঠে নামেন ওয়েলচ। তবে তারও আর রক্ষা হয়নি। ৫৪ রানের ইনিংসেই দিনের শেষ উইকেট হিসেবে তাকে ফেরান তাইজুল ইসলাম। আর এই উইকেট নিয়েই ক্যারিয়ারে ১৬তম ফাইফারের স্বাদ নেন বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার।
শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২২৭ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করে জিম্বাবুয়ে। অর্থাৎ, দিনের প্রথম দুই সেশন জিম্বাবুয়ের দখলে থাকলেও শেষ সেশনে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচে ফিরেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।