২০০০ সালের ২৬ জুন আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশ হিসেবে টেস্ট স্ট্যাটাস পায় বাংলাদেশ। একই বছরের নভেম্বরে টেস্ট অঙ্গনে পা রাখে বাংলাদেশ। দুই যুগেরও বেশি সময়ের পথ চলায় টেস্টে বাংলাদেশের যে অবস্থানে যাওয়ার কথা ছিল তার ধারে কাছেও যেতে পারেনি। কালেভাদ্রে এসেছে সাফল্য। এর পেছনে বড় কারণ টেস্ট কালচার গড়ে তুলতে না পারা। এতো বছরেও টেস্ট কালচার গড়ে না উঠায় পুরো বিষয়টিকেই দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসাইন শান্ত।
২০২২ সালে সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান গণমাধ্যমে টেস্ট কালচার নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। তার বক্তব্যে তখন আলোড়ন হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু ফলাফল আসেনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলতে নামার আগে আজ দেশের টেস্ট কালচার নিয়ে আক্ষেপই করলেন শান্ত।
তিনি বলেন,‘খুবেই ইম্পর্ট্যান্ট, আমার মনে হয় এত বছর টেস্ট খেলার পরও যখন টেস্ট কালচার নিয়ে আমাদের কথা বলতে হয় এটা অবশ্যই দুঃখজনক৷’
আরও পড়ুন: দলের প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্ট অধিনায়ক শান্ত
তবে শুধু দুঃখ জানিয়ে থেমে থাকেননি শান্ত। বরং আশার কথা শুনিয়েছেন। জানালেন, ‘গত বছর থেকেই আমরা কীভাবে টেস্ট টিমটা একটা কালচার তৈরি করতে পারি বা আমরা কীভাবে খেলাটা খেলতে চাই এই বিষয়গুলো নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছিল। নতুন কোচ আসার পরে তার একটা প্ল্যান আছে এবং সে কীভাবে দলটাকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে চায়, তার একটা স্পষ্ট রূপরেখা আছে, যেটা অলরেডি প্লেয়ারদের সাথে শেয়ার করেছেন।’
এবার নতুন করে শুরুর পাশাপাশি প্রতিটা ম্যাচ জয়ের জন্য খেলার প্রত্যয় নিয়ে টাইগার অধিনায়ক আরও বলেন,‘আমি অধিনায়ক হিসেবে মনে করি যে প্রত্যেকটা ম্যাচ আমরা জয়ের জন্য খেলি। এখানে সেলফ ক্রিকেটটা খেলার ইচ্ছা আমাদের কারোরই নাই। আমি যেটা বললাম একটু আগে যে, নতুন কিছু আমরা চেষ্টা করব। এবং এটাও শুরু হবে আগামীকাল থেকে। আমার মনে হয় এটার জন্য যে ধরনের মন মানসিকতা প্রস্তুতি থাকা দরকার সেগুলো খেলোয়াড় নিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: অধিনায়ক হিসেবে প্রত্যেকটা ম্যাচ জয়ের জন্য খেলি: শান্ত
ঘরের মাটিতে হন্য হয়ে সাফল্য খুঁজছে বাংলাদেশ৷ সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে হোয়াইটওয়াশ, এর আগে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা সিরিজেও ব্যর্থ হয়েছে টাইগাররা৷ তাই এবার ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় দিয়ে সাফল্য ফিরিয়ে আনতে চাইবে বাংলাদেশ৷
শান্ত বলেন,‘হোমে গত বছর আমরা ভালো ক্রিকেট খেলিনি। প্ল্যানগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। এ বছর কীভাবে হোমে ক্রিকেট খেলে যে ভুলগুলা ছিল সেগুলা শুধরে ভালো ফল করতে পারি এখানে এটা গুরুত্বপূর্ণ।’