নতুন পথচলায় আশার আলো খুঁজছেন তাসকিন আহমেদ। চোটের কারণে আপাতত মাঠের বাইরে থাকলেও মন পড়ে আছে জাতীয় দলের সঙ্গেই। আর সেই দলের সঙ্গে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান পেস তারকা শন টেইট। টাইগারদের নতুন পেস বোলিং কোচ হিসেবে পাকিস্তানের বিপক্ষে চলমান সিরিজ দিয়েই যাত্রা শুরু করেছেন তিনি। টেইটকে নিয়ে আশাবাদী তাসকিন, যিনি মনে করছেন এই অজি কিংবদন্তি হতে পারেন বাংলাদেশের পেস আক্রমণের উন্নয়নের সঠিক কাণ্ডারি।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ঢাকার একটি স্কুল ক্রিকেট ফাইনালে উপস্থিত ছিলেন তাসকিন। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শন টেইটকে ঘিরে নিজের প্রত্যাশার কথা জানান তিনি। তাসকিনের মতে, আধুনিক ক্রিকেটে খেলা একজন অভিজ্ঞ পেসার হিসেবে টেইট জানেন কীভাবে বর্তমান যুগের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করতে হয়। শুধু আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা নয়, বিপিএলের মঞ্চে ২০১৩ সালে দুজনে একই দলে খেলার স্মৃতিও টেনে আনেন তিনি। ব্যক্তিগতভাবে তাঁদের সম্পর্কটাও ভালো বলে জানান এই ডানহাতি পেসার।
আরও পড়ুন: ফারুকের স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন বুলবুল
তাসকিনের বিশ্বাস, “টেইট যেহেতু সাম্প্রতিক সময়ে খেলেছেন এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দলে জায়গা করে নিয়েছেন, তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শেখার সুযোগ থাকবে। যদিও আমি তাঁর অধীনে এখনো খেলিনি, কিন্তু মনে হচ্ছে আমাদের জন্য ইতিবাচক কিছুই অপেক্ষা করছে।”
গোড়ালির চোটে কিছুদিন আগে ইংল্যান্ডে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে ফিরেছেন তাসকিন। তিনজন বিশেষজ্ঞ ফিজিশিয়ানের পরামর্শ নিয়েছেন, এখন চলছে পুনর্বাসন। মিরপুরে প্রতিদিন নিজেকে তৈরি করছেন আবার মাঠে ফেরার জন্য। যদি সব ঠিকঠাক চলে, তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন সিরিজ দিয়েই প্রত্যাবর্তন ঘটতে পারে তাঁর।
নিজের চোট ও পুনর্বাসন নিয়ে তাসকিন বলেন, “ফাস্ট বোলারদের জীবনে ইনজুরি নতুন কিছু নয়। আমিও এর ব্যতিক্রম নই। এর আগেও কাঁধের সমস্যায় ভুগেছি। তখন অনেকেই শঙ্কায় ছিলেন, এমনকি নিজেও ভাবতাম হয়তো আর ফিরতে পারব না। কিন্তু সব কষ্টই একসময় কেটে যায়। আমি এখন আশাবাদী।”
আরও পড়ুন: ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ বিশ্বাস মুশতাকের
টেস্ট ক্রিকেটে ফিরতে চান কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তাসকিন জানালেন, “এর আগেও একবার কিছু সময়ের জন্য টেস্ট থেকে বিরতি নিয়েছিলাম। ভবিষ্যতে যদি শরীর পুরোপুরি সাড়া দেয়, তাহলে অবশ্যই টেস্ট খেলতে চাই। কারণ আমি ক্রিকেটটা ভালোবাসি, বিশেষ করে গতিময় বোলিংটা।”
পাকিস্তানের বিপক্ষে চলমান সিরিজে দলের বাইরে থাকলেও চোখ তাঁর মাঠের দিকেই। লিটন দাসের নেতৃত্বে দল যদিও সিরিজের প্রথম ম্যাচে পরাজিত হয়েছে, তবে সামনে এখনও সুযোগ আছে ঘুরে দাঁড়ানোর। আর তাসকিনও মুখিয়ে আছেন দলে ফিরে আবার বল হাতে গতি ও আগ্রাসন ছড়িয়ে দিতে।
বাংলাদেশ পেস আক্রমণে নতুন গতি আনার দায়িত্ব এখন শন টেইটের কাঁধে। আর তাসকিন আহমেদের মতো অভিজ্ঞ পেসাররাই হতে যাচ্ছেন টেইটের নতুন দিনের সঙ্গী।