প্রথম দিন শেষে টেস্টটা যেন হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশের। মাত্র ১৯১ রানে অলআউট হওয়ার পর কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৭ রান তুলে ফেলেছিল জিম্বাবুয়ে। সিলেটের গ্যালারি আর ডাগআউটে তখন অস্বস্তির ছায়া।
কিন্তু দ্বিতীয় দিনে বদলে গেল ম্যাচের চিত্র। বল হাতে পেসারদের পাশাপাশি দায়িত্ব নিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার অফস্পিনের ঘূর্ণিতে ধসে পড়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং। ৫ উইকেট শিকার করে প্রতিপক্ষকে থামিয়ে দিলেন ২৭৩ রানে। যদিও প্রথম ইনিংসে ৮২ রানের লিড পায় সফরকারীরা, তবে দিন শেষে বাংলাদেশ ১ উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান তুলতেই বদলে যায় ম্যাচের মেজাজ।
আরও পড়ুন: ‘অনার্স বোর্ড’ না থাকায় আক্ষেপ, উন্নতির নেই বিকল্প: মিরাজ

দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে মিরাজ জানালেন, “আমি মনে করি, ম্যাচটা এখনও আমাদের নিয়ন্ত্রণে। এখনো তো ২৫ রানে পিছিয়ে আছি। হাতে ব্যাটার আছে। যদি ভালো একটা স্কোর দাঁড় করাতে পারি, ওদের জন্য এটা চতুর্থ দিনে অনেক কঠিন হবে।”
জিম্বাবুয়ে হয়তো লিড পেয়েছে, কিন্তু মিরাজ মনে করেন, প্রতিপক্ষের রান একদমই ভয় পাওয়ার মতো কিছু না, “ব্যাটসম্যানরা যদি দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারে, ভালো সংগ্রহ করতে পারে, তাহলে আমরা পরে ডিফেন্ড করতে পারব।”

আরও পড়ুন: আল্লাহ কপালে না রাখলে হতো না, বিশ্বাস জ্যোতির
মিরাজের মতে, টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ৩০০-র উপরে টার্গেট যে কোনো প্রতিপক্ষের জন্যই কষ্টসাধ্য। নিজেদের লক্ষ্যও পরিষ্কার করে জানিয়ে এই অলরাউন্ডার বলেন, “এই পিচে যদি আমরা ৩৫০-৪০০ করতে পারি, সেটা অনেক ভালো হবে। কারণ, চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং কঠিন হবে, উইকেট অনেক বদলে যাবে।”
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ কেমন স্কোর করে, তা নির্ভর করবে ব্যাটারদের ধৈর্য, শট সিলেকশন আর চাপ সামলানোর দক্ষতার ওপর। তবে মিরাজের বোলিংয়ে পাওয়া আত্মবিশ্বাস আর দ্বিতীয় দিন শেষের পরিস্থিতি, টাইগারদের লড়াইয়ের আশাটা আবার জাগিয়ে তুলেছে।