শারজাহতে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান।
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান পারভেজ হোসেন ইমন, এদিন শূন্য রানেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান৷ এরপর ব্যক্তিগত ১৪ রানে আউট হয়ে যান অধিনায়ক লিটন দাসও। যদিও একপ্রান্ত আগলে রেখে দলের রানের চাকা সচল রাখেন ওপেনার তানজীদ হাসান তামিম। তবে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেনি কেউ। চারে নেমে শুন্য রানে ফিরতে হয় আরেক ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়কেও।
আরও পড়ুন: একাদশে ফিরলেন ইমন, আবারও নেই সৌম্য

এক পর্যায়ে আরব আমিরাতের বোলারদের তোপে মাত্র ৭১ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। যেখানে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৮ বলে ৪টি চার ও ৪ ছক্কায় ৪০ রানের ইনিংস খেলেন তানজীদ তামিম। তবে শেষ দিকে বাংলাদেশকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচান জাকের আলি অনিক ও পেসার হাসান মাহমুদ। ৩৪ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৪১ রানের ইনিংস খেলেন জাকের৷ অন্যদিকে মাত্র ১৫ বলে ঝড়ো ২৫ রানের ইনিংস খেলেন হাসান মাহমুদ। আরেক পেসার শরিফুলের ব্যাট থেকে আসে ৭ বলে ১৬ রানের ক্যামিও। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট শিকার করেন হায়দার আলি। এছাড়া ২টি করে উইকেটের দেখা পান মতিউল্লাহ ও সগীর খান৷

আরও পড়ুন: গ্লোবাল সুপার লিগে কবে মাঠে নামছে রংপুর
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে পারভেজ হোসেন ইমনের সেঞ্চুরিতে ২৭ রানের দারুণ জয় পায় টাইগাররা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অধিনায়ক ওয়াসিমের বীরত্বে শেষ পর্যন্ত ১ বল বাকি থাকতেই ২০৫ রানের লক্ষ্য টপকে ২ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় স্বাগতিকরা। প্রথমবারের মতো আমিরাতের ক্রিকেট দল বাংলাদেশকে হারানোর স্বাদও পায় সেই ম্যাচে জয় দিয়েই। ফলে সিরিজে আপাতত ১-১ এ সমতায় আছে দুই দলই। অর্থাৎ, সিরিজের অঘোষিত ফাইনালও হতে যাচ্ছে সিরিজের এই শেষ ম্যাচটি। যেখানে সিরিজ হার এড়াতে জিততেই হবে লিটন দাসের বাংলাদেশকে।