হার দিয়ে শুরু হয়েছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ২০১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছিল বাংলাদেশ। বিশেষ করে লিটন দাস যখন ৩০ বলে ৪৮ রান করে খেলায় বাংলাদেশকে টিকিয়ে রেখেছিল, তখন মনে হচ্ছিল ম্যাচ এত সহজে হাতছাড়া হবে না। কিন্তু তার বিদায়ের পর আর কাঙ্ক্ষিত পথ খুঁজে পায়নি দল। ফলাফল—৩৭ রানের হার।
তবে ম্যাচ শেষে একেবারে হতাশ নয় বাংলাদেশের ড্রেসিংরুম। স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, এই দল ঘুরে দাঁড়াবে, এবং সেটা খুব শিগগিরই। সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানকে প্রাপ্য কৃতিত্ব দেওয়ার পাশাপাশি তিনি বললেন, “সালমান খুব ভালো খেলেছে, ওর সব শটই ছিল ক্রিকেটীয়। বেসিক ঠিক রেখে খেললেই ফল পাওয়া যায়। পাকিস্তান আজ ঠিক সেটাই করেছে।”
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে গিয়েও ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দি বাংলাদেশ
পেস ইউনিটে তাসকিন-মুস্তাফিজকে ছাড়া খেলেছে বাংলাদেশ। মুশতাক এ নিয়ে বলেন, “হ্যাঁ, আমাদের দুই মূল পেসার নেই। কিন্তু শরিফুল ভালো বোলিং করেছে। পাকিস্তানের ইনটেন্ট ছিল স্পষ্ট, তাই তাদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। তবে আমাদের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, এই দল দ্রুত কামব্যাক করবে।”
ম্যাচের শুরুতে উইকেট কিছুটা কঠিন ছিল বলেও মত মুশতাকের। “প্রথম ৫-৬ ওভারে পিচে সুইং হচ্ছিল, বল থেমে আসছিল। কিন্তু পরে সেটি অনেকটাই ব্যাটিং সহায়ক হয়েছে। ফখর ও সাইমের আউট দেখলেই বোঝা যায় শুরুর কন্ডিশন কী ছিল। সম্ভবত লিটন স্পিনারদের বিপক্ষে বেশি আত্মবিশ্বাসী ছিল, তাই সেভাবে প্ল্যান করেছে।”
বিশ্বকাপকে সামনে রেখে একাদশে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথাও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, “বিশ্বকাপে কী কম্বিনেশন সবচেয়ে ভালো কাজ করবে, সেটা বোঝার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। জাকের আলী মিডল অর্ডারে ভালো করছে, তাওহিদও ধারাবাহিকভাবে খেলছে। সঠিক কম্বিনেশন খুঁজে পেতে কিছু বাজে দিন হয়তো আসবে, কিন্তু তাতে আমরা শিখছি।”
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পৌঁছেছে ফাহমিদুল
দুই দেশের বোর্ডের সম্পর্ক নিয়েও আশাবাদী মুশতাক আহমেদ। জানান, “বাংলাদেশে কাজ করতে এসে দেখেছি এখানকার মানুষ পাকিস্তানি ক্রিকেটকে ভালোবাসে। বিসিবির তরফ থেকে তরুণদের নিয়ে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের পরিকল্পনার কথাও শুনেছি। এটা দারুণ একটা সুযোগ হবে দুই দেশের ক্রিকেটের জন্য।”
শেষ দিকে টি-টোয়েন্টির মূল বার্তাটা আবারও তুলে ধরেন মুশতাক, “বড় রান তাড়া করতে গেলে শুরু থেকেই ইনটেন্ট থাকতে হয়। রান রেট যদি দ্রুত ১৩-১৪ হয়ে যায়, তখন চাপ অনেক বেড়ে যায়। নতুন ব্যাটারদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। আমরা আজ ট্যাকটিক্যালি কিছুটা পিছিয়ে ছিলাম, তবে মানে এই না যে আমাদের সামর্থ্য নেই। আমাদের ইনটেন্টটা ঠিক রাখতে হবে।”
সিরিজে এখন ১-০ তে এগিয়ে পাকিস্তান। দ্বিতীয় ম্যাচ ৩০ মে। তবে প্রথম ম্যাচের ভুলগুলো ঠিক করে মাঠে নামলে বাংলাদেশ যে ঘুরে দাঁড়াতে পারে— সেই আস্থা থেকে একটুও পিছিয়ে নেই মুশতাক আহমেদ।
আরও পড়ুন: আইপিএলের প্লে-অফ চূড়ান্ত, কে কার প্রতিপক্ষ