ডিপিএলের লিগ পর্বে দুর্দান্ত খেললেও সুপার লিগে এসে খেই হারিয়ে ফেলেছিল ইমরুল কায়েসের অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। তবে অবশেষে জয়ের দেখা পেলো তারা। সুপার লিগের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে ইমরানুজ্জামানের সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহ দাঁড় করানো অগ্রণী ব্যাংক গুলশানের বিপক্ষে ১৩৭ রানের বিশাল জয় পেয়েছে।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। তবে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের দুই ওপেনার ইমরানুজ্জামান ও অমিত হাসান। দলীয় ১১৮ রানে ব্যক্তিগত ৪২ করে অমিত আউট হলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে দলের রানের চাকা সচল রাখেন ইমরানুজ্জামান। যদিও তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ও মার্শাল আইয়ুব।
আরও পড়ুন: রান তুলতে ঝুঁকি নিতেই হয়, জাকেরের স্পষ্ট জবাব

এরপর চতুর্থ উইকেটে তাইবুর রহমানের সাথে ৬৬ রানের জুটি গড়েন ইমরানুজ্জামান। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১০৮ বলে ১৭টি চার ও ২টি ছয়ের কল্যানে সাজানো ১২৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।
শেষ দিকে প্রিতমের ৫৯, রবিউলের অপরাজিত ১৯ এবং তাইবুরের ৬০ রানের বদৌলতে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৩৫০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং ধ্বসের কবলে পড়ে গুলশানের টপ অর্ডার। দলীয় ৭ রানের পর ১৩ ও ৫১ রানে হারিয়ে ফেলে যথাক্রমে ২য় ও ৩য় উইকেট। এমনকি স্কোরবোর্ডে ৮৫ রান তুলতেই ৫ ব্যাটারকে হারায় গুলশান ক্রিকেট ক্লাব।
আরও পড়ুন: শুধু মুশফিক না, রান করতে হবে সবার: জাকের

তবে শাকিলের ৫৯ এবং নিহাদুজ্জামানের ৪৯ রানের কল্যানে খানিকটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও তা ধোপে টিকেনি। ৪৬.৫ ওভারেই ২০৩ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। অগ্রণীর সন্দীপ একাই নেন ৫ উইকেট। এই জয়ে এবারের ডিপিএলের সুপার পর্বে প্রথম জয় পেলো অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।