বিকেএসপিতে পারটেক্সের বিপক্ষে ১৭০ রানের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে গাজী গ্রুপ। অন্যদিকে, শেরে-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ১০ রানে হারিয়েছে লিজেন্ডস অফ রুপগঞ্জ।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেয় পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। আর প্রথম ওভারেই গাজী গ্রুপের ওপেনার মুনিম শাহরিয়ারকে মাত্র ৪ রানে ফিরিয়ে অধিনায়কের আস্থার প্রতিদানই দেন মোহর শেখ। তবে এরপরেই গাজী গ্রুপের সাদিকুর রহমান এবং অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ের কল্যানে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। দ্বিতীয় উউকেটে ১০১ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার।

এরপর ৫৩ বলে ৪৬ রান করে আউট হয়ে যান সাদিকুর। দ্রুত আউট হয়ে যান আমিনুল ইসলাম ও ৭৮ রান করা এনামুল হক বিজয়। কিন্তু, শেষ দিকে সাব্বির হোসেনের ৬৪, শামিম মিয়ার ৫৩ এবং তোফায়েল আহমেদের ৩৭ রানের উপর ভর করে নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩০২ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় গাজী গ্রুপ।
আরও পড়ুন: জ্যোতির সেঞ্চুরি, জোড়া ফাইফার, উড়ে গেল থাইল্যান্ড
জবাবে ব্যাট করতে নেমে এক আদিল (৫৩) ছাড়া বলার মতো আর কোনো ব্যাটারই রান করতে পারেনি। ফলে ১৩২ রানেই থামে পারটেক্সের ইনিংস।
দিনের আরেক ম্যাচে শেরে-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারিয়েছে লিজেন্ড অফ রুপগঞ্জ।
প্রথমে ব্যাটিং করে দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও অধিনায়ক সাইফ হাসান দ্রুত ফিরে গেলেও এরপরেই সৌম্য সরকার এবং মাহমুদুল হাসান জয়ের কল্যানে লড়াইয়ে টিকে থাকে লিজেন্ডস অফ রুপগঞ্জ। সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে আসে ৮০ রান। অন্যদিকে জয় করেন ৫৯। এছাড়া জাকের আলি অনিকের ৪৪, রাতুলের ২৫ ও তানজিম হাসান সাকিবের অপরাজিত ১৫ রানের কল্যানে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৭৭ রান তোলে লিজেন্ডস অফ রুপগঞ্জ।

আরও পড়ুন: সোহানের ব্যাটে ভর করে ধানমন্ডির স্বস্তির জয়
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে পরপর দুই বলে উইকেট হারায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন। দুজনকে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরান পেসার শরিফুল ইসলাম। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে ঠিকই দলের রানের চাকা সচল রাখেন মাহফিজুল ইসলাম রবিন।
রবিনের ৭৬, আইচ মোল্লার ৪৭ ছাড়াও জাহিদুজ্জামানের ২৮ এবং অধিনায়ক মাইশুকুরের ৪৬ রানের উপর ভর করে জয়ের স্বপ্ন দেখে ব্রাদার্স। শেষ দিকে সুমন খান তো ৩৪ রান করে অপরাজিতও থাকেন। কিন্তু, এক শরিফুলের তোপেই শেষ পর্যন্ত ১০ রানে হেরে যায় ব্রাদার্স। এই পেসার একাই নেন ৬ উইকেট। এছাড়া তানজিম সাকিব ও মেহেদী ১টি করে উইকেটের দেখা পান।