অবিশ্বাস্য এক রাতে ইতিহাসের পাতায় নতুন অধ্যায় লিখল পাঞ্জাব কিংস। মুল্লানপুরের মাটি যেন সাক্ষী রইল এক অনন্য রূপকথার, যেখানে মাত্র ১১১ রানের ক্ষীণ পুঁজি বুকে নিয়ে গর্জে উঠল প্রীতির দল। এই পুঁজি নিয়েই ১৬ রানের রোমাঞ্চকর জয় তুলে নিয়ে আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে কম রান ডিফেন্ড করে জয়ের রেকর্ড গড়ল পাঞ্জাব।
ম্যাচের শুরুটা ছিল রীতিমতো হতাশাজনক। ব্যাট হাতে ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করে অলআউট হয়ে যায় পাঞ্জাব, বোর্ডে রান মাত্র ১১১। কেকেআরের সামনে লক্ষ্যটা ছিল বেশিরভাগ সময়ই আইপিএলে অনায়াস জয় মানেই। কিন্তু ক্রিকেট যে শুধুই পরিসংখ্যান নয়, তার প্রমাণ দিল পাঞ্জাবের বোলাররা।
আরও পড়ুন: জ্যোতির ব্যাটে রেকর্ডের ঝড়, সাফল্যে ভাসছে বাংলাদেশও
জবাবে নামা কলকাতা নাইট রাইডার্স যেন দিশেহারা হয়ে পড়ে পাঞ্জাবের নিঁখুত লাইন-লেংথে। উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই ৯৫ রানে গুটিয়ে যায় শাহরুখ খানের দল।
গ্যালারিতে উচ্ছ্বাস, মাঠে আবেগ আর ইতিহাস গড়ার রোমাঞ্চ—সব মিলিয়ে রাতটা হয়ে উঠল পাঞ্জাব কিংসের জন্য স্মরণীয়।
সবচেয়ে চমকপ্রদ ব্যাপার, এক বছর আগেই এই কলকাতার বিরুদ্ধেই আইপিএলে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জিতেছিল পাঞ্জাব। সেই ম্যাচে কেকেআর করেছিল ২৬২ রান। সময়ের কী নির্মম পরিহাস! এবার সেই কেকেআরকেই মাত্র ১১১ রানের পাহাড় মনে করিয়ে দিল পাঞ্জাব।
এদিন কলকাতার পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন রানা। অপরদিকে পাঞ্জাবের হয়ে একাই ৩ উইকেট শিকার করেন ইয়ানসেন।
আইপিএলে সর্বনিম্ন রানে জয়— শীর্ষ ৫:
১. ১১১ রান – পাঞ্জাব কিংস বনাম কলকাতা নাইট রাইডার্স, মুল্লানপুর, ২০২৫
২. ১১৬ রান – চেন্নাই সুপার কিংস বনাম পাঞ্জাব কিংস, ডারবান, ২০০৯
৩. ১১৮ রান – সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, ওয়াংখেড়ে, ২০১৮
৪. ১১৯ রান – পাঞ্জাব কিংস বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, ডারবান, ২০০৯
৫. ১১৯ রান – সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বনাম পুণে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়া, পুণে, ২০১৩
আরও পড়ুন: ওয়াংখেডেতে হচ্ছে রোহিতের নামে গ্যালারি
যখন ক্রিকেট ভক্তরা ভাবতে শুরু করেছিলেন ২৫০ রানও নিরাপদ নয়, তখন পাঞ্জাব প্রমাণ করল— ইচ্ছা আর লড়াই থাকলে ১১১ রানও বাঁচানো যায়। ইতিহাস গড়া এক রাতে পাঞ্জাব কিংস শুধু ম্যাচ জেতেনি, আইপিএলের রোমাঞ্চকে ফিরিয়ে দিয়েছে নতুন মাত্রায়।