ক্রিকেট বিশ্বে এখন বেশ পরিচিত নাম ‘কারেন ব্রাদার্স’৷ স্যাম কারেন ও টম কারেন ব্যাটে-বলে খ্যাতি কুড়ালেও খানিকটা আড়ালেই রয়েছেন তাদের আরেক ভাই বেন কারেন৷ স্যাম ও টম কারেন ইংল্যান্ডের জার্সিতে খেললেও বেন কারেন খেলছেন বাবার দেশ জিম্বাবুয়ের হয়ে৷ সঙ্গত কারণেই তার নাম-ডাক তেমন নেই৷ তবে বর্তমানে ক্রিকেট তিন ভাইকে গেঁথেছে এক সুতোয়।
ক্রিকেটীয় কারণে তিন ভাইয়ের বর্তমান ঠিকানা প্রতিবেশী তিন দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে। কেউ খেলছেন আইপিএল, কেউ পিএসএল আবার কেউ মগ্ন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। তিন ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত মুখ স্যাম কারেন এখন আছেন ভারতে। আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলছেন এই তারকা অলরাউন্ডার। আর বড়জন টম কারেন আছেন পাকিস্তানে। পিএসএলে তাকে দলে ভিড়িয়েছে লাহোর কালান্দার্স।
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশে এসেছে জিম্বাবুয়ে দল। সিলেটে প্রথম টেস্ট শুরু আগামী রোববার। কারেন ভাইদের মেজ ভাই বেন কারেন জিম্বাবুয়ে দলের সঙ্গে এই মুহূর্তে সিলেটে আছেন। আগামী ২০ এপ্রিল বাংলাদেশের মাটিতে খেলতে পারেন তিনিও৷
আরও পড়ুন: কোয়েটাকে হারিয়ে জয়ে ফিরলো করাচি কিংস
আপাদমস্তক ক্রিকেট পরিবার থেকে উঠে এসেছেন কারেন ব্রাদার্স। কারেন ভাইদের দাদা প্যাট্রিক কারেন ছিলেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার, বাবা কেভিন কারেন জিম্বাবুয়ের হয়ে খেলেছেন ১১টি ওয়ানডে খেলেছেন। বাবার পথ ধরে জিম্বাবুয়ের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বেন কারেন। ২৮ বছর বয়সী এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান জিম্বাবুয়ের হয়ে এখন পর্যন্ত ৩টি টেস্ট ও ৬টি ওয়ানডে খেলেছেন। ১টি করে ফিফটি ও সেঞ্চুরিতে করেছেন ৩৬৯ রান।
আরও পড়ুন: আইপিএলের মাঝপথে ‘বেবি এবি’-কে দলে ভেড়ালো চেন্নাই
তবে টম কারেন ও স্যাম কারেন ইংল্যান্ডের জার্সিতে প্রতিনিধিত্ব করছেন। ইংল্যান্ডের হয়ে দুজন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নও হয়েছেন—২০১৯ সালে টম জিতেছেন ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০২২ সালে স্যাম জিতেছেন টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
কিন্তু ব্যাটে-বলে দুজনের সময়টা মোটেও ভালো কাটছে না৷ গত বছর থেকে ফর্ম হারাতে শুরু করেন স্যাম। বাদ পড়েন জাতীয় দল থেকে। সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইংল্যান্ড দলেও তার জায়গা হয়নি। আইপিএলেও স্যামের দামে অস্বাভাবিক পতন হয়েছে। ফর্ম বিবেচনায় টম কারেন আছেন আরও বাজে অবস্থায়। ইংল্যান্ড জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন সেই ২০২১ সালে। পিএসএল ড্রাফট থেকে লাহোর কালান্দার্স এই বোলিং অলরাউন্ডারকে ৫০ হাজার মার্কিন ডলারে (৬০ লাখ ৭০ হাজার টাকা) কিনলেও এখনো খেলানো হয়নি কোনো ম্যাচ।