অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান উইল পুকোভস্কি মাত্র ২৭ বছর বয়সেই ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দীর্ঘ সময় ধরে মাথার চোট (কনকাশন) সমস্যা মোকাবিলা করার পর অবশেষে তাকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকেই সরে দাঁড়াতে হয়েছে।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে সিডনি টেস্টে তার অভিষেক হয়। সেই ম্যাচে ৬২ ও ১০ রান করার পর তার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক আশাবাদ ছিল। কিন্তু বারবারের চোটের কারণে তার ক্রিকেট জীবন ছিল নানা উত্থান-পতনের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
আরও পড়ুন: আরভিনের নেতৃত্বে শক্তিশালী দল ঘোষণা জিম্বাবুয়ের

তবে শেফিল্ড শিল্ডের ২০২৪ সালের মার্চে ঘটে তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ভয়াবহ কনকাশন। রাইলি মেরেডিথের বাউন্সারের আঘাতের চোটে আবারও তিনি মাঠের বাইরে চলে যান। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে এবং চিকিৎসকরা তাকে অবসর নেওয়ার পরামর্শ দেন।
মঙ্গলবার মেলবোর্নের SEN Mornings রেডিও শোতে পুকোভস্কি জানান, “এটা খুবই কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল, কিন্তু এখন আমি আর ক্রিকেট খেলব না। গত বছরটি আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় ছিল।”
তিনি আরও বলেন, “যতটা সময় প্রয়োজন, ততটা সময় লাগবে পুরো অভিজ্ঞতা ব্যাখ্যা করতে, তবে মূল কথা হলো আমি আর খেলব না।”

পুকোভস্কি তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন হিসেবে ২০২১ সালে সিডনিতে ভারতের বিপক্ষে অভিষেককে উল্লেখ করেছেন। এক সময় তার স্বপ্ন ছিল অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিংয়ের স্তম্ভ হওয়া, তবে কনকাশনের কারণে সেই স্বপ্ন পূর্ণ হল না।
আরও পড়ুন: ১০ বছর পর ওয়াংখেডেতে মুম্বাইকে হারালো বেঙ্গালুরু
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৩৫০ রান, ৭টি সেঞ্চুরি, এবং গড় ৪৫.১৯ ছিল তার ক্যারিয়ারের মূল অর্জন।
কিন্তু কনকাশনের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব তাকে শারীরিকভাবে দুর্বল করে দিয়েছে। “মাথাব্যথা, ক্লান্তি, এবং বাম পাশের সমস্যা এখনও চলছে। আগের আমি আর এখনকার আমি একেবারে আলাদা,” বলছিলেন পুকোভস্কি।
তবে তার ক্যারিয়ার শেষ হলেও তিনি ক্রিকেটের সাথে জড়িত থাকবেন। ২০২৫-২৬ মৌসুমে মেলবোর্ন ক্লাবের প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করবেন এবং টিভি কমেন্ট্রিতে ফিরে আসতে পারেন।
একসময় পুকোভস্কি স্বপ্ন দেখেছিলেন ১০০টি টেস্ট খেলার, তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে, তার ক্যারিয়ার থেমে গেল মাত্র একটি টেস্ট ম্যাচেই।