বৃহস্পতিবার, জুন ২৬, ২০২৫
সামি'স কর্নার

এশিয়া কাপ না-ও খেলতে পারে ভারত

এশিয়া কাপ নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ২০২৫ সালের আসন্ন এশিয়া কাপে অংশ নাও নিতে পারে ভারত। রাজনৈতিক টানাপড়েন, নিরাপত্তা ইস্যু এবং বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)-এর অনাগ্রহ এই সিদ্ধান্তের পেছনে বড় কারণ হতে পারে।

যদি ভারত শেষ পর্যন্ত নিজেদের সরিয়ে নেয়, তবে সেটি হবে শুধু একটি দলের অনুপস্থিতি নয়, বরং পুরো এশিয়া কাপ কাঠামোর জন্যই বড় ধাক্কা। কারণ, টুর্নামেন্টের বাণিজ্যিক মূল্য, সম্প্রচারের আকর্ষণ এবং দর্শক আগ্রহ, সবই মূলত ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ ঘিরেই গড়ে ওঠে।


আরও পড়ুন: দিল্লির একপেশে হারের দিনে বল হাতে উজ্জ্বল মুস্তাফিজ

এসিসি (এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল) ইতোমধ্যে ভবিষ্যৎ চার এশিয়া কাপের সম্প্রচারস্বত্ব বিক্রি করেছে সনি স্পোর্টস নেটওয়ার্কের কাছে ১৭ কোটি মার্কিন ডলারে। এই চুক্তির অলিখিত শর্ত ছিল— প্রতিটি আসরে কমপক্ষে দুটি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আয়োজন নিশ্চিত করা। আর যদি দল দুটি ফাইনালেও পৌঁছে, তাহলে আরও একটি ম্যাচ যুক্ত হবে।

এমন অবস্থায় ভারত না খেললে সনি স্পোর্টস নেটওয়ার্ক সেই চুক্তি পূরণে আগ্রহ হারাতে পারে। তারা এসিসিকে চুক্তি অনুযায়ী অর্থ না দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিতে পারে। এতে শুধু সম্প্রচারকারী সংস্থা নয়, বিশাল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে এসিসিও।

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আরও জানিয়েছে, এবারের এশিয়া কাপ আয়োজন করতে খরচ হতে পারে প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এই খরচের বড় অংশ আসার কথা সম্প্রচারস্বত্বের রাজস্ব থেকে, যার ৭৫ শতাংশ ভাগ করে নেওয়ার কথা ছিল এসিসির পাঁচ স্থায়ী সদস্য—বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের মধ্যে।

এশিয়া কাপে ভারতের না থাকা মানে শুধু টিভি দর্শক কমে যাওয়া নয়—বরং মাঠের বাইরেও ক্ষয়ে যাবে বাণিজ্যিক ভিত্তি। এমনকি ভারতেই আয়োজনের কথা থাকলেও, তারা দল না পাঠালে টুর্নামেন্টের ভেন্যু সরিয়ে নিতে হতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাত বা শ্রীলঙ্কায়।

আরও পড়ুন: ব্যর্থ সাকিব, তবুও জয় লাহোরের

আরও খবর

একটি মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ খবর

জনপ্রিয় খবর