ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ট্রফি যেন একরকম আবাহনীর নামের সঙ্গেই জড়িয়ে গেছে। এবার মোহামেডানকে হারিয়ে দলটি জিতেছে তাদের ২৪তম শিরোপা। তবে এবারের জয়টা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি কষ্টের ও অর্থবহ বলেই মনে করছেন দলটির অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) মিরপুরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আবেগঘন কণ্ঠে মোসাদ্দেক বললেন, “এই বছরের জয়টা আলাদা। শুরু থেকেই আমাদের পথটা সহজ ছিল না। টিম গঠন থেকে প্রতিটা ধাপে নানা রকম চ্যালেঞ্জ এসেছে। আমরা খেলোয়াড়রা অনেক ত্যাগ করেছি, কষ্ট করেছি। সেই ফল এখন সামনে আসছে।”
আরও পড়ুন: মোহামেডানকে হারিয়ে ডিপিএলের হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন আবাহনী
দলের ভিত মজবুত করতে গিয়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষকেও পড়তে হয়েছে বিপাকে। আর্থিক সীমাবদ্ধতা, খেলোয়াড় ধরে রাখতে না পারা, অনেকেই চুক্তি করে শেষ মুহূর্তে দল ছেড়ে যাওয়া— সবকিছু মিলিয়ে এবারের যাত্রাটা ছিল অনেক কঠিন।
তবু সেই দল নিয়েই লিগের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে সন্তুষ্ট অধিনায়ক। তিনি বলেন, “যারা দলে ছিল, তারা নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়েই চেষ্টা করেছে। সুপার লিগে ওঠার পর আমরা বিশ্বাস পেয়েছিলাম— আমাদের কেউ না কেউ প্রতিদিন পারফর্ম করছে, দাঁড়াচ্ছে, ম্যাচ জিতিয়ে দিচ্ছে। সেটাই আমাদের সাহস জুগিয়েছে।”
অতীতে আবাহনীর বিরুদ্ধে আম্পায়ারদের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে বহুবার। এবারও সেই প্রসঙ্গ এড়ায়নি। তবে মোসাদ্দেক বিষয়টি দেখেছেন মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির জায়গা থেকে। “আম্পায়াররাও তো মানুষ, তারাও ভুল করতে পারে। কোন সিদ্ধান্ত যদি আমাদের পক্ষে যায়, সেটা ভালো লাগবে। আবার বিপক্ষে গেলে খারাপ লাগবে— এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু একটা দলকে টার্গেট করে সব দোষ চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়,” বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: মেহেদী মারুফের শতকে জয় পেলো লিজেন্ড অফ রুপগঞ্জ
এছাড়া দীর্ঘ দিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা মোসাদ্দেক সম্প্রতি ডাক পেয়েছেন টাইগারদের ‘এ’ দলের হয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষের সিরিজে। তার মতে, ভালো খেললেও সুযোগ আসবে জাতীয় দলে ঢোকার। এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অবশ্যই, দেখেন ভালো খেলতে থাকলে সুযোগ আসবেই।’