বুধবার, জুন ২৫, ২০২৫
সামি'স কর্নার

‘অনার্স বোর্ড’ না থাকায় আক্ষেপ, উন্নতির নেই বিকল্প: মিরাজ

দ্বিতীয় দিনেই ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে টাইগাররা। প্রথম দিনের হতাশা ভুলে এবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে শান্তর দল। মিরাজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ২৭৩ রানেই অলআউট সফরকারী জিম্বাবুয়ে। জবাবে দিনের শেষবেলায় ১ উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান তুলে স্বস্তির শ্বাস ফেলেছে স্বাগতিকরা।

দ্বিতীয় দিনের নায়ক, নিঃসন্দেহে মেহেদী হাসান মিরাজ। পাঁচ উইকেট নিয়ে ভেঙে দিয়েছেন জিম্বাবুয়ের প্রতিরোধ। দিনের শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে জানালেন, “অবশ্যই উইকেট পেলে তো সবারই ভালো লাগে। দিনশেষে এটা হোমে খেলা হচ্ছে। যদিও এতটা আশা করিনি। চেষ্টা ছিল ভালো জায়গায় বল করা, দলকে সাপোর্ট করা।”

আরও পড়ুন: পোপের প্রয়াণে সিরি আ-র ম্যাচ স্থগিত

তবে কেবল কৌশল নয়, সাফল্যের পেছনে ভাগ্যের ভূমিকাও মানতে দ্বিধা নেই তাঁর, “৫ উইকেট পাওয়ার জন্য অবশ্যই ভালো জায়গায় বল করতে হবে, ভাগ্যেরও দরকার আছে এখানে।”

এমন অর্জন আগেও করেছেন মিরাজ। পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে তুলে নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট, নাম উঠেছিল অনার্স বোর্ডেও। সেটা যে কতটা অনুপ্রেরণার, সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন তিনি। কিন্তু আফসোস, বাংলাদেশে এখনো নেই এই অনার্স বোর্ডের সংস্কৃতি।

“একজন খেলোয়াড়ের জন্য এমন অর্জন অনেক বড় অনুপ্রেরণা। অনার্স বোর্ডে নিজের নাম দেখলে সেটা অনেক দূর এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। যারা বোর্ডে আছে, তারা নিশ্চয়ই এটা বিবেচনা করবে। ক্যারিয়ারের খারাপ সময়ে চোখে যদি এমন অর্জন ধরা পড়ে, সেটা নিজেকে আবার গড়ে তোলার মতো আত্মবিশ্বাস দিতে পারে,”— বলেন মিরাজ।

নিজের অলরাউন্ডিং রোল নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েও ছিলেন সরল ও পরিণত। ব্যাট-বলের ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টার কথা জানিয়ে বলেন, “আমার কাছে যেহেতু দুইটা অপশনই আছে, দুইটা সাইডেই কাজ করাটা জরুরি। শেষ কয়েক বছরে ব্যাটিংয়ে একটু ভালো ফোকাস দিয়েছি। এজন্য শেষ তিন বছরে ভালো ব্যাটিংও করতে পেরেছি।”

আরও পড়ুন: কেনো দেশের ক্রিকেটকে ধ্বংসের পথে দেখছেন সোহান?

তবে এখানেই থেমে থাকছেন না তিনি। মিরাজ জানালেন, “কিছু জায়গায় উন্নতি হয়েছে, এখনো দরকার কিছু জায়গায়। ব্যাটিং-বোলিং দুইটা জায়গায় ব্যালেন্স করেই চলতে হবে। হয়তো শতভাগ হবে না সবসময়। তবে দুইটা রোলেই যদি ভালো করতে পারি একইসাথে, তবে সেটা আমার জন্য ও দলের জন্যই ভালো হবে।”

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টিকে থাকতে হলে প্রতিনিয়ত উন্নতির কোনো বিকল্প নেই বলেই মনে করেন মিরাজ। “আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টিকে থাকতে হলে উন্নতি করতেই হবে। না হলে কোয়ালিটিফুল ক্রিকেটারদের ভিড়ে অচিরেই হারিয়ে যেতে হবে।”

আরও খবর

একটি মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ খবর

জনপ্রিয় খবর