ঢাকার প্রিমিয়ার লিগে শিরোপার সমীকরণ পৌঁছেছে এক নাটকীয় মোড়ে। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে শেষ বলে হারিয়ে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ধরে রেখেছে শেষ আশার আলো। এখন অপেক্ষা ২৯ এপ্রিলের মহারণের— মোহামেডান ও আবাহনীর সরাসরি দ্বৈরথ, যেটি ঠিক করে দেবে এবারের চ্যাম্পিয়ন কারা।
মিরপুর শেরেবাংলায় গাজী গ্রুপের দেওয়া ২৩৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শেষ ওভারে মোহামেডানের প্রয়োজন ছিল ১২ রান। একের পর এক বল চাপ বাড়িয়ে দিচ্ছিল। তখন পঞ্চম বলে নাসুম আহমেদের বিশাল ছক্কা জাগিয়ে তুলল মোহামেডানের প্রাণ। শেষ বলে ১ রান নিয়ে নিশ্চিত করা হলো ৪ উইকেটের মূল্যবান জয়।
আরও পড়ুন: নাসুমের কল্যাণে শিরোপায় লড়াইয়ে টিকে রইলো মোহামেডান
অন্যদিকে বিকেএসপিতে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে অনায়াসে ৭ উইকেটে হারিয়ে নিজেদের কাজটা সেরে রেখেছিল আবাহনী। তারা তাকিয়ে ছিল মিরপুরের দিকে, মোহামেডানের হারের খবরে শিরোপা জয়ের অপেক্ষা শেষ করার আশায়। কিন্তু মিরপুরের মঞ্চে নাসুমের ব্যাটে সেই আশায় ছাই পড়েছে।
গ্রুপ পর্বে আবাহনী ও মোহামেডান— দু’দলই পেয়েছিল সমান পয়েন্ট। কিন্তু সুপার লিগে এসে ছন্দপতন ঘটে মোহামেডানের। চার ম্যাচে আবাহনী টানা চার জয় তুলে নিয়ে এগিয়ে গেলেও মোহামেডান হোঁচট খায় এক ম্যাচে। এই এক হারের কারণেই শিরোপার লড়াইটা এখন এমন টানটান উত্তেজনার জায়গায় এসে ঠেকেছে।
মোহামেডান শুরুতে বিপদে পড়লেও রনি তালুকদার ও তাওহিদ হৃদয়ের ৭৫ রানের জুটিতে লড়াইয়ে ফেরে। পরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে হৃদয়ের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে। তবু শেষদিকে ম্যাচ যখন উত্তেজনার চূড়ায়, তখন সাইফউদ্দিন ও নাসুম দেখান ঠাণ্ডা মাথায় ফিনিশিং টাচ।
অন্যদিকে আবাহনীর হয়ে শাহরিয়ার কমল ও পারভেজ ইমন দুর্দান্ত ওপেনিং এনে দেন, পরে জিসান আলম ও মেহেরব হাসান কাজটা শেষ করেন। মোসাদ্দেক হোসেনের ৪ উইকেট ছিল আবাহনীর বোলিংয়ের মূল শক্তি।
আরও পড়ুন: রুপগঞ্জকে হারিয়ে শিরোপা থেকে একধাপ দূরে আবাহনী
এখন সব নজর ২৯ এপ্রিলের দিকে। মিরপুরে হবে শিরোপার যুদ্ধ। যে দল জিতবে, তাদেরই মাথায় উঠবে প্রিমিয়ার লিগের মুকুট। মোহামেডান জিতলে মুখোমুখি লড়াইয়ের হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হবে তারা। আর ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে ট্রফি যাবে আবাহনীর হাতে।
মিরপুর অপেক্ষায় এক উত্তপ্ত লড়াইয়ের, যেখানে ক্রিকেটই কথা বলবে।