মিরপুর শেরে-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীকে ৩৯ রানে হারিয়ে দিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আনিসুলের সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহ দাঁড় করানো মোহামেডান পরবর্তীতে রুখে দিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর একক প্রচেষ্টা।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দেখেশুনেই করে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও আনিসুল ইসলাম। তবে দলীয় ৩৩ রানে নাহিদ রানার বলে ব্যাক্তিগত ১৬ রানে রনি আউট হয়ে গেলে উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায় ।
এরপর মাঠে নামেন বিপিএলে দারুণ খেলা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। দ্বিতীয় উইকেটে আনিসুল ও অঙ্কনের ব্যাটে আবারও ঘুরে দাঁড়ায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ১২৩ রানের জুটি গড়ে দলকে আবারও ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন এই দুই ব্যাটার। তবে ব্যক্তিগত ৪৮ রানে অঙ্কন আউট হয়ে গেলে আবারও ছন্দপতন ঘটে।

আরও পড়ুন: প্রাইম ব্যাংকের বিদায়ের দিনে জিতলো রূপগঞ্জ টাইগার্স
আনিসুলকে সঙ্গ দিতে পারেননি তাওহীদ-মুশফিক কিংবা রিয়াদও। ব্যক্তিগত ১১৪ রান করে পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে তিনি আউট হোন। ১১৮ বলে ১৮টি চার ও ২ ছক্কায় দুর্দান্ত এই ইনিংসটি সাজান তিনি। শেষ পর্যন্ত ২৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আবাহনীর পক্ষে একাই ৩ উইকেট নেন পেসার নাহিদ রানা। এছাড়া ২টি করে উইকেট শিকার করেন মৃত্যুঞ্জয়, রাকিবুল ও মাহফুজুর রাব্বি।
হাইভোল্টেজ ম্যাচে ২৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি আবাহনীরও। দলীয় ১৭ রানেই আউট হয়ে যান অধিনায়ক জিসান। বেশিদূর যেতে পারেননি আরেক ওপেনার পারভেজ ইমনও।

তবে এরপরেই দলের হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। একপ্রান্ত আগলে রেখে ১১৩ বলে ৭ চারে ৮০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন তিনি। তবে অপর প্রান্তের আর কোনো ব্যাটার তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে না পারায় হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় আবাহনীকে। ৪৭.২ ওভারে ২২৫ রানেই অলআউট হয়ে যায় আবাহনী লিমিটেড। মোহামেডানের হয়ে একাই চার উইকেট নেন এবাদত হোসেন।
আরও পড়ুন: মেসিকে ছাড়বে না মায়ামি, হতে পারে নতুন চুক্তি
এদিকে, ২০১৬ সালের পর ওয়ানডেতে আবাহনীর বিপক্ষে এটিই মোহামেডানের প্রথম জয়। অর্থাৎ, প্রায় ৯ বছর পর অবশেষে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষে পঞ্চাশ ওভারের লড়াইয়ে বিজয়ের হাসি হাসলো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
অন্যদিকে, সুপার লিগে দুই দলের পয়েন্টই এখন সমান। দেখার বিষয়, শেষ পর্যন্ত ডিপিএলের শিরোপা কার হাতে উঠে!