ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার সামরিক সংঘাতের কারণে স্থগিত হয়ে যায় দুই দেশের ফ্রাঞ্জাইজি ক্রিকেট৷ দেশি ও বিদেশি ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে নিজ নিজ ভূমি থেকে আইপিএল ও পিএসএল সরিয়ে নেওয়ারও পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ তবে এবার উত্থান ঘটেছে নতুন এক সমস্যার। আইপিএল ও পিএসএলে বিদেশি ক্রিকেটারদের উপস্থিতি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে৷
গত শনিবার(১০ মে) বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে দুই এশিয়ান পরাশক্তির। যদিও এখনও পরিস্থিতি পুরো স্বাভাবিক হয়নি। যেকোনো সময় যুদ্ধ জড়াতে পারে দুই দেশ৷ তবে এরই মাঝে আইপিএল ও পিএসএলের বাকি অংশ শুরু করতে উভয় দেশের ক্রিকেট বোর্ড তোড়জোড় চালাচ্ছে। আগামী কয়েকদিনের ভেতর বিসিসিআিই ও পিসিবি অবশিষ্ট খেলা শেষ করতে চায়। বিসিসিআইকে আইপিএল আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড(ইসিবি), অন্যদিকে পাকিস্তান আরব-আমিরাতে পিএসএল আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷
তবে অস্ট্রেলিয়ান সংবাদ সংস্থা এএপি জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহে কাশ্মির অঞ্চলকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি হামলার স্বাক্ষী হওয়া ক্রিকেটাররা আবারও টুর্নামেন্ট খেলতে যাবেন কি না সেই প্রশ্ন উঠেছে। আইপিএল ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় তিন শহর বেঙ্গালুরু, চেন্নাই ও হায়দরাবাদে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে, যা পাকিস্তানের সীমান্ত থেকে অনেক বেশ দূরে।
আরও পড়ুন: অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল
ইতোমধ্যে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, রাজস্থান রয়্যালস ও চেন্নােই সুপার কিংস আইপিএলের প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গেছে। যাদের কেবল একটি অথবা দুটি ম্যাচ বাকি। পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা এসব ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলছেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা প্যাট কামিন্স, ট্রাভিস হেড ও নাথান এলিসরা। যদিও কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউড ও হেড শনিবারই অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে গেছেন বলে জানিয়েছে এএপি।
অন্যদিকে, পাকিস্তান সুপার লিগে খেলতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে আছেন ডেভিড ওয়ার্নার, শন অ্যাবট, বেন দারউইশ, অ্যাস্টন টার্নার, বেন ম্যাকডারমট ও মিচেল ওয়েন। যুদ্ধের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার পর তারা ফের পিএসএল খেলতে যাবেন কি না, তাও নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন৷
আরও পড়ুন: আইপিএল আয়োজনে আগহী ইংল্যান্ড
আগামী ১১ জুন লর্ডসে শুরু হতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালকে ঘিরে শীঘ্রই প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু করবে অস্ট্রেলিয়া। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা মুখোমুখি হবে। ফলে ফাইনালকে কেন্দ্র করে অজি ও প্রোটিয়া ক্রিকেটাররা যোগ দেবেন স্ব স্ব ক্যাম্পে। ফলে দুই দেশের ক্রিকেটারদের আইপিএল ও পিএসএল না খেলার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে৷