আইপিএলের মঞ্চ থেকে দূরে থাকছেন না কেইন উইলিয়ামসন, যদিও এবার ব্যাট হাতে নয়—নতুন ভূমিকায় হাজির হচ্ছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক। নিলামে দল না পেলেও আইপিএল ২০২৫-এ থাকছেন তিনি, তবে এবার মাইক্রোফোন হাতে। ধারাভাষ্যকার হিসেবে তাঁর অভিষেক হতে চলেছে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচেই, যেখানে থাকবেন সুনীল গাভাস্কার, এবি ডি ভিলিয়ার্স, বীরেন্দ্র শেহওয়াগের মতো ক্রিকেট কিংবদন্তিরা। অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে তিনি তুলে ধরবেন ম্যাচের বিশ্লেষণ, কৌশল ও খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ।
আইপিএলে উইলিয়ামসনের যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে। ব্যাট হাতে দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য পারফরমার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। ২০১৮ সালে সানরাইজার্সকে আইপিএলের ফাইনালে তুলেছিলেন, যেখানে তিনি ১৭ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৭৩৫ রান করেছিলেন এবং সেই আসরের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হয়েছিলেন। পরবর্তীতে গুজরাট টাইটান্সের হয়েও খেলেছেন, তবে ২০২৩ মৌসুমে চোটের কারণে খুব বেশি ম্যাচ খেলতে পারেননি।
আইপিএলে এখন পর্যন্ত তিনি দুটি দলের হয়ে ৭৯টি ম্যাচ খেলেছেন, যেখানে ৩৫-এর বেশি গড়ে করেছেন ২১২৮ রান। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ১৮টি অর্ধশতক, যদিও এখনো শতকের দেখা পাননি। এবার ব্যাট রেখে তুলে নিচ্ছেন মাইক্রোফোন, আর ক্রিকেটীয় বিশ্লেষণের মাধ্যমে নতুনভাবে মাতাবেন দর্শকদের।

২২ মার্চ কলকাতার ঐতিহাসিক ইডেন গার্ডেন্সে পর্দা উঠবে আইপিএল ২০২৫-এর। প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হবে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সেখানেই ধারাভাষ্যকার হিসেবে অভিষেক হবে উইলিয়ামসনের। তবে এটি দীর্ঘমেয়াদি নয়, মাত্র ১০ দিনের জন্যই থাকছেন তিনি ধারাভাষ্যের দায়িত্বে। এরপরই উড়াল দেবেন পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল), যেখানে করাচি কিংসের হয়ে মাঠে নামবেন। সেখানে আবারও সতীর্থ হচ্ছেন ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে, যিনি একসময় তাঁর সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দলের সঙ্গী ছিলেন।
এবারই প্রথমবারের মতো আইপিএল ও পিএসএল একই সময়ে আয়োজিত হচ্ছে, যা ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য বাড়তি উত্তেজনা তৈরি করছে। একদিকে আইপিএলের জমজমাট লড়াই, অন্যদিকে পিএসএলে নতুন চ্যালেঞ্জ—দুটি টুর্নামেন্টই ভক্তদের জন্য বাড়তি আকর্ষণের সুযোগ করে দিচ্ছে। উইলিয়ামসনের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের বিশ্লেষণ দর্শকদের জন্য অবশ্যই বিশেষ কিছু হবে।
এবার ব্যাট নয়, মাইক্রোফোন হাতে উইলিয়ামসন কেমন পারফর্ম করেন, সেটাই দেখার অপেক্ষা!