চলতি আইপিএলে ব্যাটে-বলে ধুঁকছে রাজস্থান রয়্যালস। ৮ ম্যাচে ২ জয় ও ৬ হার নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের আট নম্বরে আছে দলটি৷ এর মধ্যে যোগ হয়েছে অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসনের চোট। এবার তাদের বিরুদ্ধেই উঠেছে ফিক্সিংয়ের গুরুতর অভিযোগ। সব মিলিয়ে মাঠে ও মাঠের বাইরে চাপে রয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। তবে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা।
আইপিএলে গত ১৬ এপ্রিল দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে সুপার ওভারে গিয়ে হেরে যায় রাজস্থান রয়্যালস। এর তিনদির পর ১৯ এপ্রিল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে মাত্র ২ রানের জন্য হেরে যায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। পরিস্থিতি দেখে মনে হয়েছিল, দুটি ম্যাচেই জিততে পারতো রাজস্থান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলটির হেরে যাওয়া অস্বাভাবিক ঠেকেছে রাজস্থান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (আরসিএ) অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক জয়দীপ বিহানির কাছে।
এরপরই রাজস্থানের বিপক্ষে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আনেন তিনি। অভিযোগ তুলে বিহানি বলেন, ‘নিজেদের মাঠে যখন জয়ের জন্য মাত্র কয়েক রান দরকার ছিল শেষ ওভারে, তখন তারা কীভাবে হেরে গেল? এর তদন্ত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: পিচ নিয়ে সমালোচনা, হার্শা ভোগলে-সায়মন ডুলকে নিষিদ্ধের দাবি
আজ বুধবার এক চিঠিতে জয়দীপ বিহানির এমন অভিযোগের জবাব দিয়েছে রাজস্থান। রাজস্থান রয়্যালসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়কের করা অভিযোগগুলো আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। জনসমক্ষে এমন বক্তব্য শুধু বিভ্রান্তই করে না। এমনকি রাজস্থান রয়্যালসের গ্রহণযোগ্যতা ও খ্যাতিরও ক্ষতিসাধন করে। এতে করে রয়্যাল মাল্টি স্পোর্টস প্রাইভেট লিমিটেড (আরএমপিএল), রাজস্থান ক্রীড়া সংস্থা ও বিসিসিআইয়েরও খ্যাতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ক্রিকেটের গ্রহণযোগ্যতাও ধূলিসাৎ করে দেয় এসব অভিযোগ।’
ফ্র্যাঞ্চাইজিটির সিনিয়র কর্মকর্তা দীপ রায় এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, বিহানির বক্তব্য মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও প্রমাণ অযোগ্য। এই ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিতে মুখ্যমন্ত্রী, ক্রীড়ামন্ত্রী ও ক্রীড়া সচিবকে অনুরোধ করেছে রাজস্থান রয়্যালস ম্যানেজমেন্ট।
আরও পড়ুন: পিৎজা-মাটন ত্যাগ, আত্মসংযমে সফল ১৪ বছরের সূর্যবংশী
অবশ্য এর আগেও আইপিএলে ফিক্সিংয়ের সঙ্গে রাজস্থানের নাম জড়িয়েছে৷ ২০১৬ ও ২০১৭ আইপিএলে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ থাকায় চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে রাজস্থান রয়্যালসকে নিষিদ্ধ করা হয়৷ এবারও একই ফ্র্যাঞ্চাইজির নামে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছে।