চলতি আইপিএলে দেখা দিচ্ছে একের পর এক সমস্যা৷ ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার কারণে সবকিছুই যেন এখন এলোমেলো। এবার আসরের মাঝপথেই বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচের জন্য নতুন নিয়ম করেছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। নতুন এই নিয়মে বলা হয়েছে, লিগ পর্বের শেষ ৯ ম্যাচে বৃষ্টি হানা দিলে খেলা শেষ করার জন্য অতিরিক্ত আরও ২ ঘণ্টা পাওয়া যাবে।
আইপিএলে এতদিন নিয়ম ছিল, লিগ পর্বের কোনো ম্যাচে বৃষ্টি হলে ১ ঘন্টা অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়া হবে। শুধু প্লে-অফের ম্যাচের ক্ষেত্রে বাড়তি সময় ১২০ মিনিট বা ২ ঘন্টা। তবে এবার লিগ পর্বেও সেই নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে৷
বৃষ্টির কারণে ম্যাচ ভেসে যাওয়া রুখতেই এই নিয়ম করেছে কর্তৃপক্ষ। অন্তত ৫ ওভার করে হলেও যাতে ম্যাচের ফল বের করে আনা যায়, সেই পরিকল্পনাতেই এমন সিদ্ধান্ত৷ বিশেষ বিবেচনায় লিগ পর্বের ম্যাচেও বাড়তি ২ ঘণ্টা অতিরিক্ত সময় বরাদ্দের নিয়মকে ভালোভাবে নেয়নি কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কলকাতা এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: কলকাতা নয়, আইপিএলের ফাইনাল হবে আহমেদাবাদে
তার মনে করছে, এই নিয়মটা শুরু থেকে কার্যকর হলে এখন তারাও আইপিএলের প্লে-অফের দৌড়ে থাকতো। নতুন নিয়মটি অবগত করাতে ১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজিকেই ইমেইল করে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। প্রধান নির্বাহী হেমাং আমিন জানান, অন্য মৌসুমের তুলনায় এবার আগেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ করা মেইলের প্রত্যুত্তরে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন কলকাতার প্রধান নির্বাহী(সিইও) বেঙ্কি মাইসোর৷ তিনি মনে করেন, অন্তত ১৭ মে (পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার জেরে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পর খেলা শুরুর দিন) থেকে এই নিয়ম কার্যকর করা উচিত ছিল বোর্ডের।
ফিরতি মেইলে মাইসোর লেখেন, ‘হয়তো পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আইপিএলের মাঝপথে এই ধরণের নিয়ম পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে যদি আরও ধারাবাহিক হওয়া যেতো, তাহলে আরও ভালো হতো।’
আরও পড়ুন: রেকর্ড গড়েই আইপিএলের অভিষেক আসর শেষ করলেন সূর্যবংশী
গত শনিবার(১৭ মে) কলকাতা বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে আইপিএল ফের শুরুর কথা থাকলেও বৃষ্টির জন্য ওই ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়ে যায়। ফলে পয়েন্ট ভাগাভাগিতে প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে যায় কলকাতা।
এ নিয়ে মাইসোর লেখেন,‘বেঙ্গালুরুতে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কলকাতার প্লে-অফের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতার অভাব একদমই কাম্য নয়। আমি নিশ্চিত যে আপনারা বুঝতে পারছেন, কেন আমরা মনে করছি যে আমাদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে।’