ঘরের মাঠে আবারও হারের মুখ দেখলো লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। ২০৬ রানের পাহাড়সম টার্গেট দাঁড় করিয়েও সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে ৬ উইকেটের হার নিয়েই মাঠ ছাড়লো রিশাভের পন্তের দল।
সোমবার (১৯ মে) টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সানরাইজার্সের অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তবে লক্ষ্ণৌর দুই ওপেনারের মারকুটে ব্যাটিংয়ে বিফলে যায় কামিন্সের এই সিদ্ধান্ত। উদ্বোধনী জুটিতেই আসে ১১৫ রান। এরপর ৩৯ বলে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কার কল্যানে সাজানো ৬৫ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মিচেল মার্শ। এরপর আরেক ওপেনার এইডেন মার্কক্রাম দেখেশুনে খেললেও দ্রুত আউট হয়ে যান অধিনায়ক পন্ত। দলীয় ১৫৯ রানে ব্যক্তিগত ৬১ রানে ডেসিংরুমে ফিরতে হয় এইডেনকেও৷ এরপরেই আসলে ব্যাটিং ধ্বসে পড়ে সুপার জায়ান্টস।
আরও পড়ুন: সেঞ্চুরির পরও কেন একাদশে নেই ইমন- জানালো বিসিবি

শেষ পর্যন্ত নিকোলাস পুরানের ২৬ বলে ৬টি চার ও ১ ছয়ে ৪৫ রানের বদৌলতে ২০০ অব্দি যেতে পারে লক্ষ্ণৌ। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে সম্মানজনক ২০৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় সুপার জায়ান্টসরা।
বড় টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই খেই হারায় সানরাইজার্স। দলীয় ১৭ রানেই ফিরে যান আথার্ভ। তবে এরপরেই অভিষেক শর্মা ও ইশান কিষাণের জুটিতে ম্যাচে ফিরে হায়দ্রাবাদ। দ্বিতীয় উইকেটে এই দুই ব্যাটার যোগ করে ৮২ রান। এরপর ২০ বলে ৪টি চার ও ৬ ছক্কায় সাজানো ৫৯ রানের ইনিংস খেলে আউট হয়ে যান অভিষেক। তবে দলকে বিপদের হাত থেকে বাঁচান প্রোটিয়া ব্যাটার হেনরিখ ক্লাসেন ও কামিন্দু মেন্ডিস৷ ৩৫ রান করে ইশান আউট হওয়ার পর কামিন্দু ও ক্লাসেন মিলে জুটি গড়েন।

আরও পড়ুন: নাহিদকে একাদশে রেখে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
২১ বলে ব্যক্তিগত ৩২ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে কামিন্দু মাঠ ছাড়লেও ক্লাসেনের ২৮ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ৪৭ রানের অনবদ্য এক ইনিংসের উপর ভর করে জয়ের কাছে পৌছে যায় হায়দ্রাবাদ। শেষ পর্যন্ত ১০ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে প্যাট কামিন্সের দল।