সংযুক্ত আরব-আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ হারের পর এবার পাকিস্তানের কাছেও ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ। এবার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিনটিতে হেরে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে লিটন দাসের দল৷ ফলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতির পর্বে বড় ধাক্কাই খেয়েছে বাংলাদেশ। তবে মাঠের ক্রিকেটে দলের এমন ব্যর্থতার মাঝেও ওপেনিং জুটি নিয়ে ইতিবাচক বাংলাদেশের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স।
পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম ম্যাচ থেকেই ব্যাট হাতে দুর্দান্ত তানজিদ হাসান তামিম৷ তিন ম্যাচেই হেসেছে তার ব্যাট৷ অন্য পাশে থাকা আরেক ওপেনার পারভেজ হোসাইন ইমন ছিলেন ব্যর্থ। প্রথম দুই ম্যাচে মোটেও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। তবে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ৩৪ বলে ৬৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ছন্দে ফেরার বার্তা দেন ইমন৷

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সিমন্স বলেন, ‘সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক হচ্ছে ওপেনিং জুটিটা কাজে দিচ্ছে। আজকে আমরা দেখেছি যখন একসাথে ভালো করবে, তখন তারা (তানজিদ এবং ইমন) কতটা ধ্বংসাত্মক হতে পারে । আমরা চেষ্টা করব পেসাররা যেন তাদের কাজটা ঠিকভাবে করতে পারে এমন উইকেটে।’
আরও পড়ুন: হারিসের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
ম্যাচে হারের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বোলারদের বাজে পারফরম্যান্সকে দুষলেন সিমন্স। তিনি বলেন,‘আমরা যতটা ভালো বল করা দরকার ততটা ভালো পারিনি। আসলে আমি এভাবে বলতে চাই না। আমরা ভালো বল করিনি এর সাথে মোহাম্মদ হারিস দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। সাইম (আইয়ুব)ও ফর্মে ফিরেছে, সেও ভালো ব্যাট করেছে। আমরা যতটা ভালো করতে পারি ততটা ভালো বল করতে পারিনি। তারা সেটার ফায়দা লুটেছে। ক্রিকেট এমনই।’

একই সঙ্গে সিমন্সের নজর এড়ায়নি মিডল অর্ডারের টানা ব্যর্থতাও৷ এ নিয়ে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন তিনি৷ বাংলাদেশের এই প্রধান কোচ বলেন,‘তারা (তাওহিদ হৃদয় এবং শামীম হোসেন পাটোয়ারী) আগের দুই সিরিজে পারফর্ম করেছে। এক সিরিজে ভালো করেনি। এটা এক সিরিজ হিসেবে ধরে সামনের সিরিজে ফর্মে আনার চেষ্টা করতে হবে। সাইমও ফর্মে ছিল না, এখন ফর্মে ফিরেছে। এমনটা হয়েই থাকে প্লেয়ারদের। মিডল অর্ডারে কয়েকজন ছন্দে ছিল না। আমাদের এটা নিয়ে কাজ করে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: তানজিদ-ইমনের শতরানের জুটিতে বাংলাদেশের পুঁজি ১৯৬
পাকিস্তানের মতো এমন রানের উইকেটে ঘরের মাটিতে খেলা হয়না বাংলাদেশের৷ ফলে হঠাৎ করে এমন উইকেটে খেলতে গিয়ে বিপাকেই পড়তে হয় দলকে৷ এ নিয়ে সিমন্স বলেন,‘আমরা বাংলাদেশে সাধারণত এমন উইকেট পাই না। ফলে এমন উইকেটে যখন খেলি, ভিন্নভাবে কাজ করতে হবে। ফলে এসব জায়গায় আমাদের সঠিকভাবে কাজটা করতে জানতে হবে আমাদের।’