ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শেষ দিনের ম্যাচে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকে হারিয়ে জয়ের দেখা পেল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিচিত নাম মেহেদী মারুফ, যিনি নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন বিগত কয়েক সিজন ধরে, সেই মেহেদী মারুফের শতকে জয় পেলো লিজেন্ড অফ রুপগঞ্জ। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় গুলশান ক্রিকেট ক্লাব।
ব্যাটিংয়ে শুরুটা তাদের ভালোই হয়, দুই ওপেনারই পেয়েছিলেন ভালো সূচনা। হাবিবুর মুন্না এদিন ২৮ রান করেন এবং অধিনায়ক খালিদ হাসান করেন ২৪ রান। তবে দুজনের ফেরার পরই ছন্দপতন ঘটে গুলশানের। ৪৩ রানে ১ উইকেট থেকে মুহূর্তের মধ্যে স্কোর হয়ে যায় ৭৭ রানে ৫ উইকেট। মিডল অর্ডারে তেমন কেউই ভালো করতে পারেননি, ব্যতিক্রম কেবল অভিজ্ঞ নাঈম ইসলাম। একপ্রান্ত আগলে রেখে প্রায় শেষ পর্যন্ত খেলে যান।
আরও পড়ুন: মোহামেডানকে হারিয়ে ডিপিএলের হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন আবাহনী
নাঈম ইসলামের ব্যাট থেকে আসে ১০৮ বলে ৮৭ রানের ইনিংস, যেখানে ছিল ৮টি চার এবং একটি ছক্কার মার। নাঈমকে দারুণ সঙ্গ দেন মইনুল ইসলাম সোহেল। দুজনে মিলে অষ্টম উইকেটে গড়েন ৭২ রানের জুটি। মইনুল সোহেলও শেষ পর্যন্ত করেন ৩১ বলে ৪৪ রান। এই দুই ইনিংসের ওপর ভর করেই গুলশান পৌঁছে যায় ২৩২ রানে। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে লেগস্পিনার স্বাধীন ইসলাম এদিন সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: অবশেষে তাহলে ব্রাজিলেই যাচ্ছেন আনচেলত্তি?
২৩৩ রানের লক্ষ্যে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে উড়ন্ত সূচনার দায়িত্ব নেন তানজিদ হাসান তামিম। তবে মাত্র ব্যক্তিগত ১২ রানে ফিরে গেলে ৩৩ রানে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। এরপর সৌম্য সরকারও ফিরে যান শূন্য রানে।
একটু চাপ দেখা দিলেও সেটি উড়িয়ে দেন সাইফ হাসান ও মেহেদী মারুফের জুটি। সাইফ হাসান এদিন ৬৪ বলে ৬৩ রান করে আউট হন, তবে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেন মেহেদী মারুফ। তার ১১৩ বলে ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংসে ছয় উইকেটের সহজ জয় পায় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
স্কোরকার্ড:
গুলশান ক্রিকেট ক্লাব: ২৩২/১০
(নাঈম ৮৭, স্বাধীন ৩/৫৩)
লিজেন্ড অফ রুপগঞ্জ: ২৩৩/৪ (৪০.৪ ওভার)
(মারুফ ১০০*, সাইফ ৬৩)
ফলাফল: লিজেন্ড অফ রুপগঞ্জ ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: মেহেদী মারুফ