বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১০ রানের জয় তুলে নিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে সমতায় ফিরলো প্রোটিয়ারা। এদিন বাংলাদেশের অধিনায়ক আকবরের অনবদ্য সেঞ্চুরির পরেও ২ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে যায় টাইগারদের ইমার্জিং দল।
রাজশাহীতে দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের অধিনায়ক আকবর আলী। শুরুটা দেখে শুনে করলেও দলীয় ৪৬ রানে মাহফুজুর রাব্বির বলে ফেরেন মিকা ইল প্রিন্স। এরপর দ্রুতই আরেক ওপেনার জিমিলে জুমাকেও ফেরান মাহফুজুর রহমান রাব্বি।
তবে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ নেয় সফরকারীরা। তৃতীয় উইকেটে জুটিতে অ্যান্ডিলে চার্লস মোগাকানে ও কনর বয়েড ইস্টারহুইজেন গড়েন ১৩৭ রানের বড় জুটি। মোগাকানে ৬৩ বলে ৫৫ রান করে ফেরেন, তবে ইস্টারহুইজেন এগিয়ে যান শতকে কাছাকাছি। শেষ পর্যন্ত ৬৮ বলে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় করেন ৯১ রান।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানেই হবে পাকিস্তান-বাংলাদেশ সিরিজ, দাবি দেশটির গণমাধ্যমের
আর ইনিংসের শেষ দিকে প্রোটিয়াদের বড় সংগ্রহ এনে দেন ডিয়ান ফরেস্টে। দলের অন্য ব্যাটাররা দ্রুত ফিরলেও একপ্রান্ত ধরে খেলেন তিনি। ৫৯ বলে ৭টি চার ও ৬টি ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৯৬ রানে। তাঁর ইনিংসে ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দল নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে তোলে ৩৩২ রান।
বাংলাদেশের হয়ে মাহফুজুর রাব্বি, রিপন মণ্ডল ও মারুফ মৃধা দুটি করে উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং ধ্বসে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় ২৬ রানে রবিনের পর দ্রুত আউট হয়ে যান রায়হান রাফসানও। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে ফিফটি তুলে নিয়েই প্যাভিলিয়নে ফিরেন জিসান আলম। এরপরেই মূলত রাজশাহীতে দেখা যায় ‘আকবর শো।’
একপ্রান্ত আগলে রেখে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের অধিনায়ক হাঁকান অনবদ্য এক সেঞ্চুরি। দলীয় ২৯১ রানে আউট হওয়ার আগে খেলে যান ১১০ বলে ১০টি চার ও ২ ছয়ে ১৩১ রানের অনবদ্য এক ইনিংস। তবে শেষ দিকে বাংলাদেশের ব্যাটাররা ব্যর্থ হওয়ায় বিফলে যায় অধিনায়কের সেঞ্চুরি। ১০ রানের জয় তুলে নিয়েই সিরিজে সমতায় ফিরে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রোটিয়া ইমার্জিং দল।
আরও পড়ুন: বিপিএলের কালো অধ্যায়; ১৪০ সন্দেহজনক ঘটনা?