বৃহস্পতিবার, জুন ২৬, ২০২৫
সামি'স কর্নার

আক্ষেপের মাঝেও শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ে খুশি কাবরেরা

শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করে গেছেন রাকিব, শমিত, তারিক, হামজারা। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফলটা পেল না বাংলাদেশ। ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে লাল-সবুজের দল। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরার মুখে আক্ষেপ থাকলেও খেলোয়াড়দের চেষ্টা আর দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সে কিছুটা সন্তুষ্টিও দেখা গেছে।

দুই গোল খেয়ে বসার পর রাকিব হোসেন একটি গোল করে ব্যবধান কমান। এরপর বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও সমতায় ফেরা হয়নি। ম্যাচ শেষে কাবরেরা বলেন, ‘ছেলেরা শেষ পর্যন্ত লড়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে তারা অনেক ভালো খেলেছে। আমার মনে হয়, আমরা অন্তত এক পয়েন্টের যোগ্য ছিলাম।’

আরও পড়ুন: এশিয়ান কাপ স্বপ্ন ছোঁয়ার লড়াইয়ে বাংলাদেশের সমীকরণ

তবে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি। ম্যাচের শুরুর ১৫-২০ মিনিটে সিঙ্গাপুরের হাই প্রেসিং আর দ্রুতগতির খেলায় কিছুটা ভড়কে যায় বাংলাদেশ। তখনই গোল খেয়ে বসে দল। কোচ কাবরেরা স্বীকার করেন, সিঙ্গাপুরের শুরুর ধাক্কা সামলাতে পারেনি তাঁর শিষ্যরা।

ম্যাচে কয়েকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তও হতাশ করেছে কাবরেরাকে। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে যখন ফাহিমকে বক্সে ফেলে দেওয়া হয়, তখন রেফারি পেনাল্টি না দিয়ে কর্নার দেন। বিষয়টি নিয়ে কাবরেরা সরাসরি অভিযোগ না করে বলেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে দেখিনি। ভিডিও দেখে বুঝতে হবে। তবে তখন আমরা আক্রমণাত্মক ছিলাম, দ্বিতীয় গোলের জন্য চাপ দিচ্ছিলাম।’

রাকিব হোসেন দলকে একমাত্র গোল এনে দিলেও তিনি সুযোগ মিসও করেছেন কয়েকটি। তাঁকে স্ট্রাইকার না করে উইংয়ে খেলানো যায় কি না— এমন প্রশ্নে কাবরেরা জানালেন, রাকিবই তাঁর দলের সেরা স্ট্রাইকার। বললেন, ‘সে মূলত ডান দিকেই খেলেছে। তবে ও বক্সে আমাদের সবচেয়ে কার্যকর। কখনো নিচে নেমেও খেলতে হয়েছে তাকে। কেউ যদি স্ট্রাইকার হিসেবে ওর চেয়ে ভালো কিছু করতে পারত, সেটা নিশ্চিত বলা কঠিন।’

আরও পড়ুন: হামজা-শমিতদের লড়াই, তবুও হারল বাংলাদেশ

এই ম্যাচে বাংলাদেশ দলে ছিলেন হামজা চৌধুরী। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে যাঁকে প্রাণবন্ত দেখা গিয়েছিল, সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ততটা উজ্জ্বল ছিলেন না। কাবরেরা এই বিষয়ে বলেন, ‘প্রতিপক্ষ ভিন্ন ছিল। সিঙ্গাপুর আমাদের জায়গা দেয়নি। তবু সে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়েছে।’

ম্যাচের শেষদিকে গ্যালারি থেকে কিছু দর্শক হতাশায় বোতল ছুড়েছেন মাঠে। কাবরেরা বিষয়টি নিজে দেখেননি বললেও বলেন, ‘হতাশা থাকতেই পারে। তবে খেলার আরও কিছু ইতিবাচক দিকও আছে। আমরা একটা ভালো দলের বিপক্ষে খেলেছি, এবং কিছু সময় ওদের চেয়েও ভালো খেলেছি। তবে, আরও ভালো করা যেত।’

সব মিলিয়ে তিন পয়েন্ট না পাওয়ার কষ্ট যেমন আছে, তেমনি ম্যাচের শেষ পর্যন্ত লড়াই করা দলটাকে নিয়ে কিছুটা গর্বও অনুভব করছেন কোচ। তবে সামনে যেহেতু আরও ম্যাচ আছে, সেখানে পয়েন্ট পেতেই হবে— এটা জানেন কাবরেরা। তাই তিনি এখন পরবর্তী ম্যাচেই দৃষ্টি রাখছেন।

আরও পড়ুন: প্রথমার্ধের শেষমুহুর্তের গোলে পিছিয়ে বাংলাদেশ

আরও খবর

একটি মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ খবর

জনপ্রিয় খবর