দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিল উজবেকিস্তান। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ড্র করার পর নিশ্চিত হয় তাদের প্রথমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপ খেলার টিকিট।
২০২৬ বিশ্বকাপ হবে তিনটি দেশে— যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে। আয়োজক হওয়ার সুবাদে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোয়ালিফাই করেছে এই তিন দেশ। তাদের সঙ্গে এবার যুক্ত হলো জাপান, ইরান, আর্জেন্টিনা, নিউজিল্যান্ড ও উজবেকিস্তান— যাদের জায়গা নিশ্চিত হয়েছে মাঠের লড়াইয়ে।
আরও পড়ুন: ফাহমিদুল দশে দশ, হতাশ করেননি তাজ-কাজেমও
এই তালিকায় শীঘ্রই আরও যুক্ত হতে পারে দক্ষিণ কোরিয়া ও জর্ডান— যদিও জর্ডানের জন্য এটি হবে প্রথমবার, উজবেকিস্তানের মতোই।
বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ৫৭তম অবস্থানে থাকা উজবেকিস্তানের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৩৬ মিলিয়ন। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৯২ সালের জুনে তারা নিজেদের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিল। এরপর ১৯৯৪ সালে ফিফার সদস্যপদ লাভ করে।
তবে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ার স্বপ্ন বরাবরই অধরা ছিল। সবচেয়ে কাছে গিয়েছিল ২০০৬ সালে, বাছাই পর্বে বাহরাইনের বিপক্ষে দুই লেগের প্লে-অফে খেলেছিল তারা। প্রথম লেগে ১-০ ব্যবধানে জিতলেও এক বিতর্কিত রেফারিং সিদ্ধান্তে ম্যাচটি পুনরায় খেলতে বলা হয়। দ্বিতীয় লেগ শেষে অ্যাওয়ে গোলের নিয়মে বিদায় নিতে হয় উজবেকদের।
আরও পড়ুন: রোনালদোর গোলে ফাইনালে পর্তুগাল
তবে এশিয়ান ফুটবলে তারা নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে আগেই। ১৯৯৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিটি এশিয়ান কাপেই খেলেছে এই দলটি, আর ২০০৪ থেকে নিয়মিতই তারা পৌঁছেছে নকআউট পর্বে। ২০১১ সালে ছিল সেমিফাইনাল অবধি যাত্রা, আর সর্বশেষ আসরে জায়গা করে নেয় কোয়ার্টার ফাইনালে।
তবে এবার সব ছাপিয়ে উজবেকিস্তান লিখে ফেলল নতুন এক অধ্যায়। ফুটবলের সবচেয়ে বড় মঞ্চে প্রথমবারের মতো জায়গা করে নেওয়া নিঃসন্দেহে তাদের ক্রীড়া ইতিহাসের অন্যতম গর্বের মুহূর্ত।
আরও পড়ুন: দুর্দান্ত হামজায় ভুটানকে হারাল বাংলাদেশ