৩ হাজার ৯৩৫ দিন পর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ফিরে চমৎকার বোলিং উপহার দিলেন টেস্ট ইতিহাসের সফলতম পেসার জেমস অ্যান্ডারসন। বল হাতে গড়লেন ক্যারিয়ারসেরা বোলিং রেকর্ডও।
অ্যান্ডারসন সবশেষ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে খেলেছিলেন ২০১৪ সালের ২৩ আগস্ট, টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টের ফাইনালে ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ৪ ওভারে ৫২ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন তিনি। দীর্ঘ ১১ বছর পর সেই ভাইটালিটি ব্লাস্টে ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে মাঠে ফিরেছেন কিংবদন্তী এই পেসার৷

টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রত্যাবর্তনটা রাঙালেন রেকর্ড গড়ে৷ ডারহামের বিপক্ষে ৪ ওভারে স্রেফ ১৭ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন অ্যান্ডারসন। তার দল জিতেছে ৪ উইকেটে। চেস্টার-লি-স্ট্রিটে রোববার ম্যাচের প্রথম ওভারে অ্যান্ডারসন দেন স্রেফ ৩ রান। পরের ওভারে প্রথম তিন বলে একটি করে ছক্কা ও চার হজম করেন তিনি। তবে পঞ্চম বলে প্রথম উইকেটের স্বাদ পেয়ে যান গ্রাহাম ক্লার্ককে ফিরিয়ে। এই ওভারে দেন ১১ রান।
আরও পড়ুন: কার্ডিফে রুটের মহাকাব্য, ভিভকে ছাড়িয়ে কেসির কীর্তি
পাওয়ার প্লেতেই আরেক ওভার বোলিং করে আরেকটি উইকেট নেন তিনি। এই ওভারে একটি লেগ বাইসহ আসে মাত্র ২ রান। নিজের কোটার শেষ ওভারটি তিনি করেন একাদশ ওভারে, এবার নেন আরেকটি উইকেট। একটি লেগ বাইসহ এই ওভারে খরচ ৩ রান। ডারহামকে ১৫০ রানে আটকে রেখে শেষ বলে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ল্যাঙ্কাশায়ার।

৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান খরচায় ক্যারিয়ার সেরা বোলিং রেকর্ড গড়েন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে তার আগের সেরা বোলিং ছিল ২৩ রানে ৩ উইকেট, ২০০৯ সালের বিশ্বকাপে লর্ডসে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে এই রেকর্ড গড়েন তিনি। এখন পর্যন্ত ক্যারিয়ারে ৪৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ওভারপ্রতি ৮.৩৬ করে রান দিয়ে তার শিকার ৪৪ উইকেট।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াকে সামলাতে একদিনের জন্য ব্রডকে কোচ করলো দক্ষিণ আফ্রিকা
গত বছরের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লর্ডস টেস্ট দিয়ে বর্ণাঢ্য টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানেন অ্যান্ডারসন। বিদায়ী ম্যাচে চার উইকেট শিকার করে টেস্ট ইতিহাসের সফলতম পেসার থেমে যান ৭০৪ উইকেট নিয়ে। পরের টেস্ট থেকেই শুরু হয় তার নতুন অধ্যায়। বোলিং পরামর্শক হিসেবে যোগ দেন তিনি ইংল্যান্ডের কোচিং স্টাফে। তবে সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ফেরার আগ্রহ দেখিয়েছেন ৪৩ ছুঁইছুঁই এই পেসার। খেলতে চান আইপিএলও৷