লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে প্রথমে ব্যাটিং করে ৬ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ২০১ রান।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই মাত্র ৪ রান করে আউট হয়ে যান সাইম আইয়ুব। তবে এরপরেই আরেক ওপেনার শাহিবজাদা ফারহান ও মোহাম্মদ হারিস মিলে দলকে প্রাথমিক বিপর্যয় থেকে টেনে তোলেন। এই জুটিতে স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ৯২ রান। এরপর ৪১ রান করে হারিস আউট হলে বেশিক্ষণ টিকেননি ফারহানও। ব্যক্তিগত ৭৪ রানে তিনিও সাজঘরে ফিরে যান।
আরও পড়ুন: ফারুক আহমেদের মনোনয়ন বাতিল করল এনএসসি

তবে এই দুই ব্যাটারের ঝড়ো ইনিংসের পরেও বাংলাদেশের বোলারদের উপর তান্ডব কমেনি একটুও। এক হাসান নাওয়াজের কাছেই আবারও কুপোকাত হয় টাইগার বোলাররা। শেষ পর্যন্ত ২৬ বলে ২টি চার ও ৩ ছয়ে ৫১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন নাওয়াজ। আর নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান। বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইকেট শিকার করেন হাসান মাহমুদ ও তানজিম হাসান সাকিব।
এই ম্যাচে কুঁচকির চোটে পড়ে মাত্র ৩ বল করেই মাঠ ছাড়েন পেসার শরিফুল ইসলাম। পরবর্তীতে তার ওভারের বাকি ৩ বল করেন শামিম পাটোয়ারী।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে হার দিয়েই অবশ্য শুরু করেছিল বাংলাদেশ। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ২০১ রান তোলার পাকিস্তানের বিপরীতে ১৬৪ রানেই থেমে গিয়ে বাংলাদেশ। ফলে ৩৭ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে আছে স্বাগতিক পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: হাবিবুল বাশার বললেন, ‘এই বাংলাদেশ অচেনা’

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এ পর্যন২০ বারের দেখায় ১৭ বারই জয় পেয়েছে পাকিস্তান। অন্যদিকে, মাত্র ৩ ম্যাচে জয় পাওয়া বাংলাদেশের ১টি ম্যাচ ছিল আবার এশিয়ান গেমসের বাছাইপর্ব। অর্থাৎ, ক্রিকেটের ক্ষুদ্র এই সংস্করণে পাকিস্তানের বিপক্ষে টাইগারদের সিনিয়র দলের জয় মাত্র ২ ম্যাচে।