১১তম বিপিএল আসরকে ঘিরে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক ও রাজস্ব বণ্টন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গভর্নিং কাউন্সিল। সোমবার (২৬ মে) অনুষ্ঠিত এই সভায় মূল আলোচনার কেন্দ্রে ছিল ড্রাফটভুক্ত দেশি ও বিদেশি খেলোয়াড়দের পাওনা পরিশোধ প্রসঙ্গ।
আলোচনায় অংশ নেওয়া ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর জমা দেওয়া হিসাবনিকাশ ও পরিশোধ সংক্রান্ত প্রমাণপত্র পর্যালোচনা শেষে এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেয় বিপিএল কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, যেসব দল নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী খেলোয়াড়দের পাওনা পরিশোধ করেছে, তাদেরকে টিকিট বিক্রির রাজস্বের একটি অংশ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বাইশগজে প্রত্যাবর্তন কেমন হলো সাকিবের

এই প্রথমবারের মতো বিপিএলের ইতিহাসে টিকিট বিক্রির আয় ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ঈদুল আজহার আগেই এই অর্থ বণ্টনের পরিকল্পনা রয়েছে, তবে এর জন্য খেলোয়াড়দের কাছ থেকে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।
প্রাথমিকভাবে যেসব দল প্লে-অফে খেলেছে, তাদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ লাখ টাকা করে। আর বাকি তিনটি দলের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪৫ লাখ টাকা করে।
তবে চূড়ান্ত অঙ্ক নির্ধারণ হবে খেলোয়াড়দের বকেয়া পরিশোধের অনুপাতে। অর্থাৎ, যে যতটা পরিশোধ করেছে, সেই অনুযায়ী তার প্রাপ্য নির্ধারণ করবে গভর্নিং কাউন্সিল।
আরও পড়ুন: শিরোপা জিতে কত টাকা পেল সাকিব-রিশাদ-মিরাজদের লাহোর

এছাড়া যেসব দল একাধিকবার নোটিশ দেওয়ার পরও খেলোয়াড়দের বকেয়া পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে বিপিএল গভর্নিং বডি। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে বিসিবি নিশ্চিত করতে চায় চুক্তিভিত্তিক দায়বদ্ধতা এবং লিগের পেশাদারিত্ব।
বিসিবির এই উদ্যোগকে ইতিবাচক বলেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ এতে যেমন খেলোয়াড়দের পাওনা নিশ্চিত হবে, তেমনি নিয়ম মেনে চলার ক্ষেত্রে দলগুলোর মধ্যে বাড়বে প্রতিযোগিতা ও পেশাদারিত্ব।
আরও পড়ুন: ৪০০ টাকায় দেখা যাবে হামজা-শমিতের খেলা