পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)-এ প্রথমবারের মতো সুযোগ পেলেও খুব বেশি ম্যাচ খেলেননি বাংলাদেশের রিশাদ হোসেন। শুক্রবারের দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ার সহ সব মিলিয়ে মাত্র ৬টি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন। এর মধ্যে জাতীয় দলের খেলার জন্য মাঝপথে টুর্নামেন্টও ছেড়েছেন। আবার যে ম্যাচগুলোতে দলে ছিলেন, সবগুলোতে একাদশেও জায়গা পাননি। তবে যে অল্প কয়েকটি সুযোগ পেয়েছেন তা কাজে লাগিয়ে তিনি উঠে এসেছেন পিএসএলের সেরা বোলারদের তালিকায়। উইকেটসংখ্যার দিক থেকে আছেন শীর্ষ দশে। তবে গড় ও স্ট্রাইক রেটেও তিনি সবার সেরা।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য যা দরকার তাই করবো: রিশাদ
এবারই প্রথমবারের মতো বিদেশি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে পাকিস্তানে খেলতে যান টাইগার লেগি রিশাদ। ৬ ম্যাচে মাঠে নামা রিশাদ বল করেছেন মাত্র ২০ ওভার, অর্থাৎ ১২০ বল। তাতেই নিজের ঝুলিতে যোগ করেছেন ১২টি উইকেট নিয়েছেন। রান খরচ করেছেন ১৮২। অর্থাৎ প্রতি উইকেট নিতে তিনি খরচ করেছেন গড়ে ১৫.১৬ রান, যা পিএসএলের শীর্ষ ১০ উইকেট শিকারি তো বটেই, শীর্ষ ১৭ জনের মধ্যেও সবার চেয়ে ভালো গড়। কমপক্ষে দশ উইকেট নেওয়া বোলারদের মধ্যেও সেরা গড় বাংলার এই লেগির।

স্ট্রাইক রেটের দিক দিয়ে আরও নিদারুণ পারফরম্যান্স রিশাদের। টাইগার এই লেগির পিএসএলের এবারের আসরে স্ট্রাইকরেট ১০। অর্থাৎ প্রতি ১০ বল পরপর উইকেট পেয়েছেন তিনি। পিএসএলে অন্তত ১০ ওভার বল করা ৪৫ জন বোলারের মধ্যে শুধু রিশাদ ও সালমান মির্জার স্ট্রাইক রেটই দশের নিচে। সালমান মির্জা তিন ম্যাচে সাত উইকেট নিয়েছেন। তবে রিশাদ নিয়েছেন ছয় ম্যাচে ১২ টি উইকেট।
আরও পড়ুন: হামজার শেফিল্ডের সামনে ৩৬৫ কোটি টাকার হাতছানি
এই তালিকায় যেসব বোলার আছেন, তাদের বেশিরভাগই পুরো টুর্নামেন্ট খেলেছেন। যেমন করাচি কিংসের হাসান আলী ও আব্বাস আফ্রিদি নিয়েছেন ১৭টি করে উইকেট। শাহীন শাহ আফ্রিদি, ফাহিম আশরাফ ও আবরার আহমেদ নিয়েছেন ১৬টি করে। হারিস রউফ নিয়েছেন ১৫টি, শাদাব খান ও ইমাদ ওয়াসিম ১৪টি করে। হাসান আলী ছাড়া বাকি সবাই বল করেছে ১১ ইনিংস। শুধু হাসান তাদের থেকে এক ইনিংস অর্থাৎ ১০ ইনিংস বল করেছেন। অথচ রিশাদ তাদের সবার কাছাকাছি চলে এসেছেন অর্ধেক ম্যাচ খেলে।

তার সমান উইকেট আছে খুররম শাহজাদ ও মোহাম্মদ আমিরের, যারা ফাইনালে লাহোরের প্রতিপক্ষ। অর্থাৎ তারাও সুযোগ পেতে পারেন রিশাদকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। তবে ফাইনালে ভালো পারফর্ম করলে রিশাদই এগিয়ে যেতে পারেন আরও।
আরও পড়ুন: হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে হেরে সেরা দুই নিয়ে শঙ্কায় বেঙ্গালুরু
রিশাদের পারফরম্যান্স বলছে, তিনি শুধু একজন সম্ভাবনাময় বোলারই নন, একজন কার্যকর ম্যাচ জয়ী বোলারও। যার উদাহরণ আবারো মিলেছে দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ার ম্যাচেও। যেখানে তার ঘূর্ণি জাদুতে কুপোকাত হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছে ইসলামাবাদের তিন ব্যাটসম্যান। তবে ম্যাচ উইনিং মেন্টালিটির রিশাদ বাংলাদেশের ঘরোয়া লিগে তিনি নিয়মিত সুযোগ পান না। বিপিএলে খেললেও অনেক সময় বেঞ্চেই বসে থাকতে হয়। তবে পিএসএলে সীমিত সুযোগে যা করে দেখিয়েছেন, তা চোখে পড়ার মতো।