টেস্ট ক্রিকেটে বল হাতে ধারাবাহিক পারফর্মার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন পেসার খালেদ আহমেদ। দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে শুরু করে জাতীয় দলের লাল বলের মঞ্চ— সবখানেই দেখা গেছে তার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের ছাপ। এবার ‘এ’ দলের হয়ে নিউজিল্যান্ড ‘এ’-র বিপক্ষে চার দিনের ম্যাচেও সেই ধারাটাই বজায় রাখলেন। দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম ইনিংসে এরই মধ্যে তুলে নিয়েছেন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
এই পারফরম্যান্স তাকে আরও একবার জাতীয় দলের সাদা বলের স্কোয়াডে জায়গা করে দিতে পারে কি না, উঠছে এমন প্রশ্ন। তবে খালেদ নিজে এসব নিয়ে খুব বেশি ভাবতে চান না। তার ভাবনায় কেবল একটাই বিষয়— নিজের কাজটা ঠিকঠাকভাবে করে যাওয়া।
আরও পড়ুন: রিশাদ-সাকিবকে নিয়েই মাঠে নামছে লাহোর

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা খালেদের কণ্ঠে ঝরে পড়েছে আত্মবিশ্বাস আর দৃঢ়তা। জানিয়েছেন, সময় মতো সুযোগ এলে তা কাজে লাগাতে প্রস্তুত তিনি। অতীতেও ওয়ানডে খেলেছেন, ভবিষ্যতেও খেলবেন, এমন বিশ্বাস রাখেন নিজের ওপর। তবে সেটা কখন হবে, তা একমাত্র নির্ধারিত করবে সময় আর নির্বাচকদের সিদ্ধান্ত।
সাদা বলের ক্রিকেটে ফেরার জন্য নিজে থেকে কোনো বার্তা দিয়েছেন কি না— জানতে চাইলে, খুব সরলভাবে জানান, তিনি বিভিন্ন লিগ ও টুর্নামেন্টে সাদা বলের অভিজ্ঞতা পেয়েছেন। বিশ্বাস করেন, নিজেকে প্রমাণ করার মতো সামর্থ্য তার রয়েছে। বাকি সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব নির্বাচকদের ওপর ছেড়ে দেন।

জাতীয় দলের সাম্প্রতিক পেস বোলিং ইউনিট নিয়ে কথা বলতে কিছুটা এড়িয়ে যান তিনি। বরং বর্তমান দলের প্রতিনিধি হিসেবে নিজের ভূমিকাতেই থাকতে চেয়েছেন। বলেন, মাঠে যারা আছে, তারাই পারফরম্যান্স সম্পর্কে ভালো জানেন।
এদিন মিরপুরের ফ্ল্যাট উইকেটে কীভাবে সফল হলেন, এ প্রশ্নে জানালেন তার কৌশলের কথা। বললেন, শুরু থেকেই পরিকল্পনা ছিল আগ্রাসী ফিল্ডিংয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলা। উইকেটে তেমন সহায়তা না থাকলেও নির্দিষ্ট জায়গায় বল রেখে প্রতিপক্ষের ভুল করানোর কৌশল ছিল তার। নিজেকে সবসময় নিয়ন্ত্রিত রাখতে চেষ্টা করেন তিনি, কারণ টেস্ট ক্রিকেটে ধৈর্যই সবচেয়ে বড় অস্ত্র।

নিজের ভাগ্য নিয়ে কখনও হতাশ হন না খালেদ। বরং বিশ্বাস করেন, প্রতিটি অর্জনই সময় মতো আসে। তিনি শুধু নিজের কাজটা মন দিয়ে করে যেতে চান। তার মতে, একজন ক্রিকেটার যদি মনে করেন তিনি দুর্ভাগা, তাহলে এতদিন টিকে থাকা সম্ভব নয়। নিজের প্রতি আস্থা, কঠোর পরিশ্রম আর ধৈর্যই তাকে এ পর্যন্ত এনেছে।
এখনো পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড ‘এ’-র বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ৩৫৭ রান তোলা দলটি এখনো এগিয়ে আছে ৮০ রানে। দিন শেষে প্রতিপক্ষ ৪ উইকেটে তুলেছে ২৭৭ রান।