বৈভব সূর্যবংশী– নামটাই এবারের আইপিএলের সবচেয়ে বড় চমক৷ যে বয়সে স্কুলের গন্ডি পেরোতেই অন্য আট-দশজনের জীবন কাটে, ঠিক সেই বয়সে আইপিএলের মতো বড় মঞ্চে সূর্যবংশী যা করে দেখালেন তা বিরলই৷ মাত্র ১৪ বয়সে আইপিএলের অভিষেক আসরে খেলতে নেমেই হাঁকালেন দুর্দান্ত এক শতক৷ কুড়িয়ে নিলেন অসংখ্য ক্রিকেটবোদ্ধাদের স্তুতি। এবার চলতি আসরে নিজের শেষ ম্যাচেও আরও একবার রেকর্ড গড়ে নিজেকে দারুণভাবে প্রমাণ করেছেন বৈভব।
মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে রাজস্থান রয়্যালসের জয়ের দিনে ব্যাট হাতে রাঙিয়ে শেষটা বেশ ভালোভাবেই করেছেন বৈভব। ম্যাচে ছিলেন ভারতের যুবদলের দুই তরুণ ওপেনার আয়ুশ মাহাত্রে এবং বৈভব সূর্যবংশী। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আয়ুশ খেললেন দলীয় সর্বোচ্চ ৪৩ রানের ইনিংস। ক্যারিয়ারের শুরুতেই তারকাখ্যাতি পেয়ে যাওয়া বৈভব থেমেছেন ফিফটি করে। সঙ্গে ফিরলেন দুই রেকর্ড নিয়েও।
চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ৩৩ বলে ৫৭ রানের ম্যাচ জেতানো যে ইনিংসটি বৈভব খেলেছেন, তাতেই ফের রেকর্ডবুকে নাম তুললেন তিনি৷ ৪টি করে চার ও ছক্কায় সাজানো তার ইনিংসটি দলের জয়ের জন্য রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তার ইনিংসের ওই ৪ ছক্কা তাকে নিয়ে গেছে আইপিএলের রেকর্ডবুকে৷ এক মৌসুমে ২০ বছরের কম বয়সী ব্যাটসম্যানদের মধ্যে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডের তালিকায় এখন শীর্ষে বৈভব সূর্যবংশীর নাম।
আরও পড়ুন: বৈভব ঝড়ে জয় দিয়ে আসর শেষ করলো রাজস্থান
চলতি আইপিএলে নিজের অভিষেক আসরেই ২৪ ছক্কা হাঁকিয়েছেন বৈভব সূর্যবংশী। ২০১৭ আসরে ঋষভ পান্তও ২৪টি ছক্কা মেরেছিলেন। পান্ত অবশ্য তখন ১৯ বছর ৭ মাস বয়সি। তবপ সূর্যবংশী মাত্র ১৪ বছর ১ মাস বয়সেই সেই রেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন। তবে রেকর্ড আর এককভাবে নিজের করা হচ্ছে না তার। কারণ আইপিএলে রাজস্থানের হয়ে নিজের শেষ ম্যাচটা খেলে ফেলেছেন তিনি৷ দলেরও নেই আর কোনো ম্যাচ৷
শুধু ছক্কার রেকর্ড নয়, ফিফটি হাঁকিয়েও রেকর্ডবুকে নাম তুলেছেন বৈভব৷ ক্রিকেট ইতিহাসে মাত্র ৩য় খেলোয়াড় হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৬ বছর পেরুবার আগেই একাধিক ফিফটি করেছেন বৈভব সূর্যবংশী। তার আগে এই কৃতিত্ব ছিল জিব্রাল্টার জাতীয় দলের ক্রিকেটার লুইস ব্রুস ও আফগানিস্তানের আঞ্চলিক ক্রিকেট দল বুস্ট ডিফেন্ডার্সের হাসান ইসাখিলের।
আরও পড়ুন: কলকাতা নয়, আইপিএলের ফাইনাল হবে আহমেদাবাদে
৬ ফিফটি নিয়ে এই তালিকায় সবার শীর্ষে লুইস ব্রুস৷ ২ করে ফিফটি নিয়ে তালিকার দুই ও তিনে রয়েছেন হাসান ইসাখিল এবং বৈভব সূর্যবংশী।