সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বাংলাদেশের হয়ে খেলার জন্য দেশের মাটিতে পা রাখলেন হামজা চৌধুরী।
সোমবার (১৭ মার্চ) সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। এরপর বিমানবন্দর থেকে পরিবারসহ চলে যাবেন হবিগঞ্জের পৈতৃক ভিটায়।
গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার কাছ থেকে বাংলাদেশের হয়ে খেলার ছাড়পত্র পাওয়ার পর থেকেই দেশের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। একসময় ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-২১ দলের জার্সিতে মাঠ কাঁপানো এই মিডফিল্ডার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগেও নিয়মিত খেলেছেন। লেস্টার সিটির হয়ে জিতেছেন ইংল্যান্ডের ঘরোয়া লিগের টুর্নামেন্ট এফ এ কাপও। যদিও বর্তমানে তিনি ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপের ক্লাব শেফিল্ড ইউনাইটেডে ধারে খেলছেন, তবুও ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের কারণে নিয়মিতই থাকছেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
সব ঠিক থাকলে আগামী ১৯ মার্চ ঢাকায় জাতীয় দলের সঙ্গে প্রথমবারের মতো অনুশীলনে যোগ দেবেন হামজা। আর ২৫ মার্চ ভারতের শিলংয়ে সুনীল ছেত্রীদের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের জার্সিতে মাঠে দেখা যাবে তাঁকে।
এরই মধ্যে হামজা কোন পজিশনে খেলবেন, তা নিয়েও চলছে নানা বিশ্লেষণ। জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ‘ট্রান্সফার মার্কেট’-এর প্রকাশিত সম্ভাব্য একাদশ অনুযায়ী, ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের আক্রমণের দায়িত্বে থাকবেন ইতালিয়ান লিগে খেলা ফাহামিদুল ইসলাম ও রাকিব হোসেন।
তাদের ঠিক পেছনে চার মিডফিল্ডার— হামজা চৌধুরী, মোহাম্মদ হৃদয়, জামাল ভূঁইয়া ও আল আমিন। এখানে ফলস নাইন হিসেবে দুই ফরোয়ার্ডের ঠিক পেছনে খেলতে পারেন আল আমিন। আর মূল একাদশে হৃদয়ের বদলে সুযোগ পেতে পারেন আরেক প্রবাসী ফুটবলার সৈয়দ শাহ কাজেম।
রক্ষণভাগ সামলাবেন ফয়সাল, তাজ উদ্দিন, তারিক কাজী ও তপু বর্মণ। আর গোলরক্ষকের দায়িত্বে থাকবেন মিতুল মারমা।
তবে এসব কেবলই সম্ভাব্য বিশ্লেষণ। সব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন একটাই প্রশ্ন— মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে দেশের জার্সিতে কতটা আলো ছড়াতে পারবেন হামজা চৌধুরী? কোটি ফুটবল ভক্ত সেই উত্তর খোঁজার অপেক্ষায়!