পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) খেলতে গিয়ে বর্তমানে পাকিস্তানে অবস্থান করছেন জাতীয় দলের দুই তরুণ ক্রিকেটার রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানা। চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনা ও নিরাপত্তা উদ্বেগের মাঝে তাদের খোঁজখবর রাখছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রিশাদ ও রানার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। শুধু খেলোয়াড়দের সঙ্গেই নয়, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এবং ইসলামাবাদে অবস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশনের সঙ্গেও বিসিবির সমন্বয় চলছে।
আরও পড়ুন: পিএসএল খেলতে চাচ্ছেন না বিদেশি ক্রিকেটাররা

এবারের আসরে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে খেলছেন বাংলাদেশের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। এরই মাঝে সুযোগ পেয়ে তিনি রেখেছেন প্রতিভার ছাপও। অন্যদিকে এখনো খেলার সুযোগ পাননি পেশোয়ার জালমির হয়ে পিএসএলে খেলতে যাওয়া তরুণ পেসার নাহিদ রানা। পিএসএলের বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের ম্যাচগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়েও দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানিয়েছে, খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। পাকিস্তানে অবস্থানকালীন সময়ে রিশাদ ও রানা যেন নিরাপদ এবং আশ্বস্ত থাকেন, তা নিশ্চিত করতে পিসিবি এবং হাই কমিশনের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে বোর্ড।

এছাড়া, সময়মতো ও নিরাপদভাবে তাদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়াও বিসিবির নজরে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে এই বিষয়ে সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়।
এদিকে, পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) বৃহস্পতিবারের বহুল প্রতীক্ষিত ম্যাচ— পেশোয়ার জালমি ও করাচি কিংসের মধ্যকার লড়াই আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ মে) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। যদিও ম্যাচ স্থগিতের নির্দিষ্ট কারণ জানানো হয়নি, তবে রাওয়ালপিন্ডির স্টেডিয়াম এলাকায় ঘটে যাওয়া ড্রোন হামলার পরই আসে এ সিদ্ধান্ত।

পিসিবি জানিয়েছে, দর্শকদের সর্বশেষ আপডেট দিতে তারা ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকবে। পাশাপাশি যেসব দর্শক ম্যাচের টিকিট কিনেছিলেন, তাদের জন্য রিফান্ড নীতিরও ঘোষণা দিয়েছে বোর্ড। ভিআইপি গ্যালারি ও ইনক্লোজারের টিকিটধারীরা বিভিন্ন টিসিএস এক্সপ্রেস সেন্টার থেকে অর্থ ফেরত নিতে পারবেন। অনলাইনে কেনা টিকিটের টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে ফেরত যাবে।
আরও পড়ুন: আরও পড়ুন: পিএসএল উত্তেজনায় ছন্দপতন: পেশোয়ার-করাচি ম্যাচ স্থগিত
আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন অনুসারে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় রাওয়ালপিন্ডিতে ম্যাচটি মাঠে গড়ানোর কথা ছিল। তবে সকালেই স্টেডিয়াম চত্বরে ঘটে ড্রোন হামলা, যার ফলে আহত হয়েছেন কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি রেস্তোরাঁও। এই হামলার পরই সিদ্ধান্ত আসে, আপাতত রাওয়ালপিন্ডিতে আর কোনো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে না। শোনা যাচ্ছে, পিএসএলের বাকি ম্যাচগুলো করাচিতে সরিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, ম্যাচ স্থগিত হওয়ায় হতাশ হয়েছেন অনেক ক্রিকেটপ্রেমী। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে পিসিবির এমন সিদ্ধান্তকে অনেকেই দেখছেন যুক্তিসঙ্গত বলে।