ক্রীড়াঙ্গনে নারী-পুরুষের ভেদাভেদ স্পষ্ট৷ নারীদের তুলনায় পুরুষদের যেকোনো টুর্নামেন্টে জাঁকজমকটা একটু বেশিই। এমনকি মুনাফাও পাওয়া যায় বেশ৷ পৃথিবীর সব খেলাতেই এমন পার্থক্য দৃশ্যমান৷ ক্রিকেটেও এর ব্যতিক্রম নয়৷ তবে এবার নারী-পুরুষের খেলাকে যেন এক কাতারে নামিয়ে আনলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের নারী ক্রিকেটার হেলি ম্যাথিউস৷
ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী ক্রিকেট দলের ৫ই পুরুষ ক্রিকেট দলের বিপক্ষে একটি ফিফটি হাঁকিয়েছেন। শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও এমন কীর্তিই গড়েছেন এই ক্যারীবিয়ান৷ বার্বাডোজ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের এলিট ডিভিশন লিগের তিন দিনের ম্যাচে তিনি খেলছেন, যে টুর্নামেন্টে গত বছর খেলেছিলেন জোফরা আর্চারও। ম্যাথিউস ইউএসএ ফিল্ড পিকউইকের হয়ে মাঠে নামেন সিগনিয়াগ্লোব ফিনান্সিয়াল বিসিএ ইউথ দলের বিপক্ষে।
আরও পড়ুন: উইজডেনের বর্ষসেরা বুমরাহ-মান্ধানা

তিন দিনের সেই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে দলীয় ৫ রানে ক্রিজে নামেন ম্যাথিউস। তবে ৫ বলে ২ রান করে তাকে ফিরতে হয় সাজঘরে। তার মতো ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয় দলও৷ ২৫ ওভারে গুটিয়ে মাত্র ৬২ রানে গুটিয়ে যায় তার দল। জবাবে বিসিএ ইয়ূথ ১৭৭ রান তোলে। ওই ইনিংসে ৭ ওভারে বোলিং করে ১৮ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যাবে না পাকিস্তান, সাফ জানালেন পি
দ্বিতীয় ইনিংসেই ইতিহাসের পাতায় নাম তোলেন ম্যাথিউস৷ যা নিয়ে হইচই পড়ে যায় ক্রিকেটাঙ্গণে৷ দ্বিতীয় ইনিংসে পিকউইকের হয়ে চারে ব্যাট করতে নামেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী দলের অধিনায়ক ম্যাথিউস। ওই ইনিংসে ৭১ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলে এমন দুর্লভ কীর্তি গড়েন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে তার দল ২৫৬ রান তুলতে পারে। প্রতিপক্ষের লিড শোধ করে জয়ের জন্য ১৪২ রানের লক্ষ্য দাঁড় করায়। জবাবে ২৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করে বিসিএ ইয়ূথ।

হেলি ম্যাথিউসের বাবাও ছিলেন একজন ক্রিকেটার। বারবাডোজের শীর্ষ লিগে খেলেছেন তিনি। তার ভাইও একই লিগে পেসার হিসেবে খেলেন। ম্যাথিউস যখন ৮ বছরের শিশু তখন থেকেই পুরুষ দলের বিপক্ষে ক্রিকেট খেলতেন তিনি। এমনকি অনূর্ধ্ব-১৩ পুরুষ দলের অধিনায়কও ছিলেন এই নারী ক্রিকেটার।