বৃহস্পতিবার, জুন ২৬, ২০২৫
সামি'স কর্নার

বিদ্রোহ করলেও বেতন বৃদ্ধি সাবিনাদের, ক্ষোভ অন্য ফুটবলারদের

গত ৩০ জানুয়ারি কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে তিন পৃষ্ঠার লিখিত অভিযোগ তুলে ধরে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন সাবিনা খাতুনসহ জাতীয় দলের ১৮ জন ফুটবলার। এসময় বাটলারকে কোচিং পদ থেকে সরানোর দাবি তোলেন তারা। অন্যথায় অনুশীলন বর্জন করার ঘোষণা দেয় ফুটবলাররা। এরপর জল গড়ায় অনেক দূর। শেষপর্যন্ত সমঝোতার মাধ্যমে বাটলারের অনুশীলনে যোগ দেয় তারা৷ তবে এবার বিদ্রোহ করা ১৮ ফুটবলারের মধ্যে ১৩ জন ফুটবলারের বেতন বেড়েছে, যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অন্য ফুটবলাররা৷ 

বিদ্রোহীদের নিয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাফুফের নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তারের সঙ্গে বৈঠক করে বিদ্রোহ শেষ করার কথা বলেন সাবিনারা। এর মধ্যেই ছুটি পড়ে৷ তাই সবাই ক্যাম্প ছেড়ে চলে যান ছুটিতে৷ ছুটি শেষে ৭ এপ্রিল অনুশীলন শুরু করেন পিটার বাটলার। শুরুর এক দিন পর সেই অনুশীলনে যোগ দেন বিদ্রোহ ঘোষণা করা ১৮ ফুটবলারের ১৩ জন। ভুটানে থাকায় অনুশীলনে যোগ দিতে পারেননি ঋতুপর্ণা, মনিকা, সুমাইয়া ও সাবিনা। আর অনুশীলনে যোগ দিয়ে ভুটানে যান কৃষ্ণা, মাসুরা, রুপনা, সানজিদা, মারিয়া ও শামসুন্নাহার সিনিয়র।

এরপর ১৭ এপ্রিল নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা সংবাদ সম্মেলনে জানান,‘বিদ্রোহ করা ১৮ জনের মধ্যে ঢাকায় থাকা ৮ জনের সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাফুফে। ভুটানের যাওয়া ১০ জন ফিরলে তাদের সঙ্গে চুক্তি করা হবে। পরে অবশ্য সিদ্ধান্ত বদলে ভুটানে থাকা ১০ জনকেও চুক্তিতে আনা হয়।’ 

আরও পড়ুন: অবশেষে বাটলারের ক্যাম্পে যোগ দিলেন ‘বিদ্রোহী’ ফুটবলাররা

জানা গেছে,  শুধু চুক্তিই নয়, বিদ্রোহ করা ১৩ জন ফুটবলারের বেতন ৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৫৫ হাজার টাকা করেছে ফেডারেশন। যে ১৩ জনের বেতন বেড়েছে, তারা হলেন সাবিনা খাতুন, সানজিদা আক্তার, রুপনা চাকমা, মনিকা চাকমা, ঋতুপর্ণা চাকমা, শিউলি আজিম, তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহার জুনিয়র, শামসুন্নাহার সিনিয়র, নিলুফা ইয়াসমিন, মারিয়া মান্দা, কৃষ্ণা রানী ও মাসুরা পারভীন।

এ নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন দলের অন্য ফুটবলাররা৷ নাম প্রকাশ না করে শর্তে এক ফুটবলার বলেন,‘এখনো ক্যাম্পে সিনিয়র আপুরা আমাদের নানাভাবে শাসন করে। তারা কোনো কিছু আমাদের সামনে বলে না। এবার যে তাদের বেতন বাড়াল, এটাও আমরা জানি না। তারা অনুশীলন বর্জন করেছে, কোচকে বাদ দেওয়ার কথা বলেছে। তারপরও এমন পুরস্কার (বেতন বৃদ্ধি) পেল।’

আরও পড়ুন: আট ফুটবলারের বিরুদ্ধে কঠিন সিদ্ধান্ত বাটলারের

আরও এক নারী ফুটবলার জানান,‘আমরা প্রতিদিন ঘুম বাদ দিয়ে ভোর পাঁচটায় অনুশীলন করতে যাই। ম্যাচ খেলি। আর বেতন বাড়ল তাদের, যারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। টাকা তো আমাদেরও দরকার।’

সাধারণত পারফরম্যান্স বিবেচনায় বেতন বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু আলাদাভাবে এই ১৩ জনের বেতন কেন, কী কারণে বাড়ানো হয়েছে, তা স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাননি মাহফুজা আক্তার করিন। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, ১৩ জনের বেতন ৫ হাজার টাকা করে বেড়েছে। দেখেন, আমি পরে এটা নিয়ে মিডিয়ায় ব্রিফ করব।’ 

আরও খবর

একটি মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ খবর

জনপ্রিয় খবর