আহমেদাবাদে শুক্রবারের উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে ডিআরএস সিদ্ধান্ত ঘিরে অনফিল্ড আম্পায়ারদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে জড়ান গুজরাট টাইটান্সেট অধিনায়ক শুবমান গিল। ২২৪ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করার সময় ১৪তম ওভারে অভিষেক শর্মার পায়ে বল লাগার পর এলবিডব্লিউর জোরালো আপিল করে গুজরাট টাইটান্স। আম্পায়ার আবেদনে সাড়া না দেওয়ায় সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে ডিআরএস নেয় গুজরাট। তবে রিপ্লেতে বল কোথায় পিচ করেছে, তা স্পষ্টভাবে দেখা যায়নি; দেখা গিয়েছিল কেবল ইমপ্যাক্ট ও উইকেটস অংশ।

এতেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান গিল। আম্পায়ারদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ জোরালো আলাপ চলে তাঁর। এমনকি পরিস্থিতি সামাল দিতে অভিষেক শর্মাকেও হস্তক্ষেপ করতে হয়। পরে অবশ্য উত্তেজনা থেমে যায় এবং খেলা স্বাভাবিকভাবে চলতে থাকে।
আরও পড়ুনঃ পেসারদের রহস্যময় এক অস্ত্র : দ্যা ওবোল সিম ডেলিভারি
ম্যাচ শেষে গিল বলেন, “আমার এবং আম্পায়ারের মধ্যে কিছু বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছে। কখনও কখনও বেশি আবেগপ্রবণ হয়েছি। আসলে আপনি যখন নিজের সেরাটা নিগড়ে দিতে চান তখন স্বাভাবিকভাবেই কিছু আগ্রাসন প্রকাশ পায়।”

এছাড়াও ম্যাচের প্রথম ইনিংসে শুবমান গিলের রান আউটের সিদ্ধান্ত নিয়েও ছিলো বিতর্ক। ঘটনাটি ঘটে যখন জস বাটলার জিশান আনসারির ডেলিভারিকে লেগ সাইডে ঠেলে দ্রুত এক রান নেওয়ার চেষ্টা করেন। শর্ট ফাইন লেগ থেকে হর্ষল প্যাটেল দৌড়ে এসে দ্রুত বল ছুড়ে দেন কিপারের এন্ডে। গিলে ক্রিজে প্রবেশ করার পূর্বেই ক্লাসেন উইকেট ভাঙেন। কিন্তু বল লেগে উইকেট ভাঙে না ক্লাসের হাতের আঘাতে উইকেট ভাঙে এ নিয়ে সৃষ্টি হয় এক বিপত্তি। অনেক জল্পনা-কল্পনা শেষে সিদ্ধান্তটি দেওয়া হয় হায়দ্রাবাদের পক্ষে এবং শুবমান গিলের ইনিংসের পরিসমাপ্তি ঘটে। থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না থাকায় মাঠ থেকে বেরিয়েই চতুর্থ আম্পায়ারের কাছে সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা চান শুবমান।

তবে গিলের সেই মুহূর্ত ছাড়া ম্যাচের বাকি অংশ ছিল একতরফা। গুজরাট ব্যাটিংয়ে নেমেই রানের ঝড় তোলে এবং ৬ উইকেটে তোলে ২২৪ রানের বিশাল সংগ্রহ। শুরুর তাণ্ডব চালান গিল (৭৬) ও সাই সুদর্শন (৪৮) এবং শেষটা করেন জস বাটলার (৬৪) । এই জয় দিয়ে নিজেদের ঘরের মাঠে ২০০-প্লাস স্কোর ডিফেন্ড করার রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রাখল গুজরাট। ম্যাচে তারা ৩৮ রানে হারায় খোলসের বাইরে থাকা সানরাইজার্সকে। লক্ষ্য তাড়া করতে নামলেও শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে হায়দ্রাবাদ। গুজরাটের পরিকল্পিত বোলিংয়ে বারবার বিপর্যস্ত হয় তারা আর শেষ পর্যন্ত একতরফা হার মেনে নেয়।
আরও পড়ুনঃ ড্রাই পিচ কেনো স্পিনারদের স্বর্গ?