ভারতের বিপক্ষে ম্যাচকে ঘিরে পরিকল্পনায় ছিলেন ফাহমিদুল ইসলাম। কোচ হাভিয়ের কাবরেরাও তার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। প্রস্তুতি ম্যাচেও দারুণ খেলেছেন তিনি৷ তবুও গত মার্চে সৌদি আরবের ক্যাম্প শেষে প্রবাসী ফুটবলার ফাহমিদুলের জাতীয় দল থেকে বাদ পড়াটা এক রহস্যই বটে। গুঞ্জন ওঠে, গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণের সঙ্গে বাদানুবাদের কারণে দল থেকে বাদ পড়েন ফাহমিদুল।
তবে অভিযোগটি বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন শ্রাবণ। তবুও ভক্তদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। গতকাল দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফাহামিদুলের সঙ্গে ঘটনাটি নিয়ে ১৯ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক বলেন,‘ভিত্তিহীন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা ঠিক না আসলে। একটি ঘটনা যাচাই-বাছাই না করে কোনো কিছু বলা ঠিক নয়। এটার প্রভাব আসলে মাঠেও পড়ে। আপনি তখন পুরোপুরি মনোযোগী থাকতে পারেন না।’
আরও পড়ুন: সামিতকে খেলাতে কানাডার অনুমতি পেল বাফুফে
ফাহমিদুল ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই বুলিংয়ের শিকার হতে হয় শ্রাবণকে৷ পেশাদার ফুটবলার হিসেবে শ্রাবণ বুলিংয়ের বিষয়টি এড়িয়ে চলছেন। কিন্তু এর মুখোমুখি হতে হচ্ছে তার পরিবারকেও। তিনি বলেন, ‘এগুলো আমি মেনে নিতে পারি। কিন্তু পরিবারের লোকজন যখন এগুলো দেখেন, তখন তাঁরা এসব মেনে নিতে পারেন না। এর প্রভাব অবশ্যই পড়ে। এগুলো কাটিয়ে ওঠার উপায় হলো, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে থাকা।’
তিনি আরও বলেন,‘অনেক বড় বড় খেলোয়াড়কেও মানুষ ট্রল করে। আমি তো ক্ষুদ্র একটা ফুটবলার। এটা নিয়ে আসলে আর কোনো কথা বলা উচিত নয়। একজন পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে আমি মানুষের কাছে গিয়ে জবাব চাইতে পারি না। তাদের ইচ্ছা হয়েছে করুক, মানুষ অনেক কিছুই করে। মেসি-নেইমারকে নিয়েও ট্রল হয়। তাই এটা বড় কোনো ইস্যু নয়।’
আরও পড়ুন: আবাহনীকে হারিয়ে ফেডারেশন কাপের শিরোপা কিংসের
গত পরশু আবাহনী লিমিটেডকে হারিয়ে ফেডারেশন কাপের শিরোপা জেতে বসুন্ধরা কিংস। টাইব্রেকারে একটি সেভ দিয়ে ফাইনালের নায়ক বনে যান শ্রাবণ। এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শ্রাবণ জানান, তার আইডল জার্মান গোলকিপার ম্যানুয়েল ন্যুয়ার হলেও আর্জেন্টাইন মার্তিনেজকেই অনুসরণ করেন তিনি৷
শ্রাবণ বলেন,‘‘আলহামদুলিল্লাহ ভালো লাগছে, ফাইনালে দলকে শিরোপা জেতানোর পেছনে অবদান রাখতে পেরেছি। সেভ করার পর হঠাৎ মনে পড়ে এমিলিয়ানো মার্তিনেজের উদযাপনের কথা। আসলে আমার আদর্শ ম্যানুয়েল ন্যুয়ার কিন্তু একজন আর্জেন্টাইন ভক্ত হিসেবে মার্তিনেজকেও অনুসরণ করি।’