লর্ডসের মাটিতেই অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল। বৃহস্পতিবার (১ মে) এক বিবৃতির মাধ্যমে বিশ্বকাপ ফাইনালের ভেন্যুর নাম নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। ফাইনালের ভেন্যু ছাড়াও বিশ্বকাপের বাকি ছয় স্টেডিয়ামের তালিকাও এদিন প্রকাশ করেছে ইসিবি।
আরও পড়ুন: ‘আমি পরের ম্যাচে নামব কি না, সেটাই তো জানি না’, অবসর প্রসঙ্গে ধোনি
এই নিয়ে টানা তৃতীয়বার ইংল্যান্ডে আয়োজিত আইসিসি বিশ্বকাপের ফাইনাল আইকনিক এই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ২০১৭ সালে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০১৯ সালে পুরুষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল আয়োজিত হয়েছিলো লর্ডসেই। কাকতালীয়ভাবে দুই আসরেই শিরোপা নিজেদের ঘরে তুলেছিলো স্বাগতিক ইংল্যান্ড।
লর্ডস ছাড়াও টুর্নামেন্টের জন্য আরও ছয়টি ভেন্যু নির্ধারণ করা হয়েছে। ওল্ড ট্র্যাফোর্ড, হেডিংলি, এজবাস্টন, হ্যাম্পশায়ার বোল, দ্য ওভাল এবং ব্রিস্টল কাউন্টি গ্রাউন্ডকে ২০২৬ সালের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু হিসেবে বাছাই করা হয়েছে। ১২টি দল নিয়ে আয়োজন হতে চলা এই টুর্নামেন্টটি শুরু হবে আগামী বছরের ১২ জুন এবং ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুলাই। দলগুলোকে দুই গ্রুপে ভাগ করে লিগ পর্বে খেলা হবে মোট ৩০ টি ম্যাচ।
আরও পড়ুন: যে রেকর্ডে বোথামের পাশে মেহেদী মিরাজ
এদিকে আইসিসির চেয়ারম্যান জয় শাহ মনে করেন ইংল্যান্ডের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য বিশ্বকাপের মান আরো বাড়িয় তুলবে। তার মতে লর্ডসই এই বিশ্বকাপের ফাইনাল আয়োজনের যোগ্য দাবিদার। তিনি বলেন, “যুক্তরাজ্যের সমৃদ্ধ বৈচিত্র্য সবসময়ই প্রতিটি দলের জন্য সমর্থন প্রদর্শন করেছে, অতীতের ইভেন্টগুলোতে এটি আমরা বেশ দারুণভাবে লক্ষ্য করেছি। ২০১৭ সালে লর্ডসে মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালটি মহিলাদের খেলার উত্থানের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে রয়ে গেছে এবং ফাইনালের জন্য এর চেয়ে উপযুক্ত মঞ্চ আর ভাবতে পারছি না।”
ইসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিচার্ড গোল্ড এই বিশ্বকাপকে ‘দেশের সবচেয়ে বড় মহিলা ক্রিকেট ইভেন্ট’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। সেই এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের ব্যাপারেও তিনি ব্যাপক আত্মবিশ্বাসী। যদিও গোল্ড জানেন যে সামনের চ্যালেঞ্জটি সহজ নয় তবে প্রক্রিয়াটি নিয়ে তিনি আশাবাদী। তিনি বলেন, “আমরা ২০২৬ সালের আইসিসি মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য বেশ রোমাঞ্চিত। এটি ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে অনুষ্ঠিত সর্বকালের সবচেয়ে বড় মহিলা ক্রিকেট ইভেন্ট হবে এবং নিঃসন্দেহে এটি এই খেলাকে তরুণ থেকে শুরু বৃদ্ধ পর্যন্ত নতুন আরো অনেক ভক্ত-সমর্থকের দোরগোড়ায় নিয়ে যাবে।”