প্রথম ম্যাচে পরাজয়ের পর নিজেদের পরের দুই ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। জাওয়াদ আবরারের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় ম্যাচে সমতায় ফেরা বাংলার যুবারা তৃতীয় ম্যাচে জিতেছে অধিনায়ক আজিজুল হক তামিমের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে। ডার্ক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে স্বাগতিক লঙ্কান যুবাদের ৩৯ রানে হারিয়ে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: বিসিবির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা ফারুক আহমেদের
কলম্বোর কোল্টস ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ডে এদিন দুইদল মাঠে নামে বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেই। বৃষ্টির কারণে এদিন কমিয়ে আনা হয় ম্যাচের দৈর্ঘ্য। টস জিতে এদিন আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। ব্যাট হাতে ইনিংসের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি বাংলার যুবাদের। মাত্র ৬ রানেই বিদায় নেন কালাম সিদ্দিকী।
এরপর বাংলার ইনিংসের হাল ধরেন আগের ম্যাচে বিশাল জুটি গড়ে দলকে জেতানো অধিনায়ক তামিম ও জাওয়াদ। দুজনে মিলে এদিন যোগ করেন ৬৫ রান। তবে ব্যক্তিগত ৩৮ রানে বিদায় নিয়েছেন জাওয়াদ। এই ওপেনারের বিদায়ের পর চারে নামা রিজান হোসেনকে সাথে নিয়ে রানের চাকা ঘোরাতে থাকেন তামিম। দুজনে ক্রিজে থাকা অবস্থাতেই নেমে পড়ে বৃষ্টি। টাইগার যুবাদের সংগ্রহ তখন ২৮ ওভারে ২ উইকেটে ১৪৪ রান। এর মধ্যে তামিমের ব্যাটে এসেছে ৬৭ ও রিজানের ব্যাটে ২৪ রান।
আরও পড়ুন: অলরাউন্ডার মিরাজের কল্যাণে বিশাল জয় টাইগারদের
বৃষ্টিতে খেলা থেমে যাওয়ায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমিয়ে আনা হয় ২৮ ওভারে। ডিএলএস মেথডে শ্রীলঙ্কার জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮ ওভারে ১৯৮ রান। দুই পেসারের তান্ডবে শুরু থেকেই স্বাগতিকদের চাপে রাখে বাংলাদেশ। বেশ নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা লঙ্কানদের ছয় ব্যাটার বিদায় নেন মাত্র ৬৮ রানেই।
সপ্তম উইকেট জুটিতে স্বাগতিকরা কিছুটা লড়াই চালানোর চেষ্টা করলেও তামিমের ঘূর্ণি জাদুর কাছে পরাস্ত হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা ২২ ওভারে ৭ উইকেটে ১২০ রান তোলার পর আলোকস্বল্পতায় বন্ধ হয়ে যায় খেলা। আর তাতেই ডিএলএস মেথডে ৩৯ রানের জয় পায় সফরকারীরা। ব্যাট হাতে অর্ধশতকের পর বল হাতে মাত্র ১৭ রান খরচায় ২ উইকেট পেয়েছেন আজিজুল হাকিম তামিম। এছাড়া দুটি উইকেট পেয়েছন পেসার আল ফাহাদ। সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে আগামী ৩ মে মাঠে নামবে দুই দল।