চট্টগ্রামে চলমান একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ম্যাচের রাশ কিছুটা নিজের দিকেই টেনে নিয়েছে সফরকারী জিম্বাবুয়ে। দিনের শেষ সেশনে হঠাৎ ব্যাটিং বিপর্যয়ে ৭ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। যদিও সাদমান ইসলামের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় সেশন পর্যন্ত বেশ স্বস্তিতেই ছিল স্বাগতিকরা। তবে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৯১ রান, যা জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসের চেয়ে ৬৪ রানে এগিয়ে।
দিনের শুরুতেই দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন তাইজুল ইসলাম। আগের দিন ৯ উইকেটে ২২৭ রান নিয়ে দিন শেষ করা জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় দিনে আর কোনো রান যোগ করতে পারেনি। ইনিংসের প্রথম ওভারে শেষ উইকেট তুলে নেন তাইজুল, যা ছিল তার ষষ্ঠ উইকেট। ফলে ২২৭ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীদের প্রথম ইনিংস।
আরও পড়ুন: লেগস্পিনার বিপ্লবের ঘূর্ণিতে দিশেহারা অগ্রণী ব্যাংক

এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ ছিল বাংলাদেশের। উদ্বোধনী জুটিতে সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয় ১০৫ রানের জুটি গড়েন। প্রথম সেশনে কোন উইকেট না হারিয়ে লাঞ্চে যায় বাংলাদেশ। এর মধ্যে সাদমান তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ হাফসেঞ্চুরি।
তবে মধ্যাহ্নভোজের পরই পাল্টে যায় ম্যাচের চিত্র। জিম্বাবুয়ের বোলাররা নিয়ন্ত্রিত লাইন-লেংথে আক্রমণ চালিয়ে একে একে তুলে নেন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে আউট হন সাদমান ইসলাম, যিনি খেলেন ১২০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস, যা ছিল তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি।

এছাড়া মুমিনুল হক দ্রুত ফিরে যাওয়ার পর কিছুটা চাপ বাড়ে। যদিও মুশফিকুর রহিম কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন, তবে দলকে বড় জুটি উপহার দিতে পারেননি। ৪০ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। অন্যদিকে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ২৩ রানে বিদায় নেন।
শেষ বিকেলে আরও একবার ব্যাটিং ধস নামে বাংলাদেশের ওপর। আগের টেস্টে ফিফটি করা জাকের আলি এই ইনিংসে হতাশ করেন। একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে টাইগাররা।
দিনের শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৯১ রান। ক্রিজে এখনও টিকে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। তাদের কাঁধেই নির্ভর করছে তৃতীয় দিনে বড় লিড গড়ার আশা।
আরও পড়ুন: মেহেদী মারুফের শতকে জয় পেলো লিজেন্ড অফ রুপগঞ্জ

জিম্বাবুয়ের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন বাঁহাতি স্পিনার ভিনসেন্ট মাসেকেসা। তিনি শিকার করেন সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট।
বাংলাদেশের সামনে এখন লক্ষ্য বাকি থাকা তিন উইকেটে যতটা সম্ভব রান যোগ করে লিড বাড়ানো। অপরদিকে জিম্বাবুয়ে চাইবে দ্রুত ইনিংস গুটিয়ে দিয়ে ব্যাট হাতে জবাব দিতে। এমন অবস্থায় চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন হয়ে উঠছে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মোক্ষম সময়।