মাত্র ৩৫ বলে শতরান। ক্রিস গেইলের পর আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম শতকের রেকর্ডে নাম লেখালেন বৈভব সূর্যবংশী। টি টোয়েন্টি ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী রশিদ খানকে ছক্কা হাঁকিয়ে পূরণ করলেন শতক। মাত্র ১৪ বছর ৩২ দিন বয়সেই ইতিহাসের পাতা নতুন করে লিখলেন রাজস্থানের এই বাহাতি ব্যাটার। বৈভবের এই অতিমানবীয় ব্যাটিংয়ে গুজরাটের দেওয়া ২১০ রানের লক্ষ্যটাও মামুলি বানিয়ে ফেলেছে রাজস্থান। ২৫ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই ম্যাচ জিতেছে স্বাগতিকরা।
আরও পড়ুন: সাকিবকে ছাড়ানোর কথা ভাবছেন না তাইজুল
নিজের তৃতীয় আইপিএল ম্যাচেই শতকের দেখা পেলেন বৈভব। গুজরাটের বিপক্ষে আউট হবার আগে এই ব্যাটারের ব্যাটে রান আসে ১০১। ১১টি ছক্কা আর ৭টি চারে নিজের ইনিংস সাজিয়েছেন সদ্যই ১৪ বছর পার করা বৈভব। ছক্কা দিয়ে আইপিএল ক্যারিয়ার শুরু করা বৈভব এদিন গুজরাটের বিপক্ষেও নিজের ইনিংস শুরু করেছিলেন ছক্কা দিয়েই।

প্রথম তিন ওভার অবশ্য অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে জয়সওয়াল ঝড় দেখতে হয়েছে বৈভবকে। তবে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ইশান্ত শর্মাকে নাকানচুবানি খাইয়ে তুলে নেন ২৮ রান। পরের ওভার ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে হাঁকালেন দুই ছক্কা আর এক চার। ১৭ বলেই পূর্ণ করেন অর্ধশতক। আইপিএল তো বটেই বরং পুরো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে অর্ধশতকের রেকর্ডটাও এদিন করেন নেন বৈভব।
আরও পড়ুন: তাইজুলের ৫ উইকেটে ম্যাচে ফিরলো বাংলাদেশ
তবে ভয়কে জয় করে ফেলা বৈভবকে আর পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক চার-ছক্কায় পৌঁছে যান তিন অঙ্কের সেই ম্যাজিকাল ফিগারের দিকে। ইনিংসের ১১তম ওভারে পেয়েও যান সেই স্বপ্নের শতকের দেখা। মাত্র ৩৫ বলে শতক হাঁকিয়ের রেকর্ডের পাতায় নিজের নাম লেখেন এই ব্যাটার। বনে যান আইপিএলের দ্বিতীয় দ্রুততম শতকের মালিক। সেই সাথে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও সবচেয়ে কম বয়সে শতক হাঁকানোর রেকর্ডটাও নিজের নামে করে নেন এই ব্যাটার।

২১০ রান তাড়া করতে গিয়ে বৈভব-জয়সওয়ালের ১৬৬ রানের জুটিই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। বৈভব ১০১ করে বিদায় নিলেও দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যেয়েই মাঠ ছেড়েছেন জয়সওয়াল। ৯টি চার ও ২টি ছক্কায় ৭০ রানে অপরাজিত থেকেই ম্যাচ শেষ করেন জয়সওয়াল। সেই সাথে ২০০-এর বেশি রান তাড়া করতে গিয়ে সবচেয়ে কম বলে জেতার রেকর্ডটাও এদিন করেছে রাজস্থান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-সিলেটে হতে পারে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ
এর আগে জয়পুরে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে যায় গুজরাট টাইটান্স। ব্যাট হাতে রানের ফুলঝুড়ির ধারা এদিনও চালু রাখেন টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার সাই সুদর্শন, শুভমান গিল ও জস বাটলার। সুদর্শন অবশ্য ৩৯ রানে বিদায় নিলেও গিল ও বাটলার দুজনেই পেয়ে যান অর্ধশতকের দেখা। গিলের ব্যাটে আসে ৫০ বলে ৮৪ ও বাটলার করেন ২৬ বলে ৫০ রান।

টপ অর্ডারের এই তিন ব্যাটারের রানে ভর করে নির্ধারিত ওভারের খেলা শেষে ভার উইকেট হারিয়ে ২০৯ রানে গিয়ে থামে গুজরাটের ইনিংস। রাজস্থানের হয়ে সর্বোচ্চ দুইটি উইকেট তুলে নেন মাহিশ থিকসানা। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে যাবার সুযোগ হারালো গুজরাট। ৯ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে তাদের অবস্থান তিনে। অন্যদিকে ১০ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের আটে রয়েছে রাজস্থান।