২০২১ সালের পর আবারও টেস্টে জয় পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। তাও কিনা সিলেটে টাইগারদের বিপক্ষেই। স্বভাবতই, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অপ্রত্যাশিত এই হার ছিল কঠিন এক ধাক্কা। এমন পরিস্থিতিতে, চট্টগ্রাম টেস্ট হয়ে উঠেছে দলের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট, যেখানে সিরিজ বাঁচানোর পাশাপাশি নিজেদের সম্মান রক্ষারও লড়াই করতে হবে শান্তদের। তবে এর আগে প্রধান কোচ সিমন্সের অনুরোধ, ‘বাংলাদেশের ভক্তরা যাতে একটু ধৈর্য ধরে।’
ক্রিকেটের প্রতি এ দেশের মানুষের ভালোবাসা ও আবেগ অনেক গভীর। তবে সমর্থকদের এই আবেগকে সম্মান জানিয়ে প্রধান কোচ ফিল সিমন্স সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশে ক্রিকেটের প্রতি যে আবেগ এবং ভালোবাসা রয়েছে, তা আমি জানি। তবে এই মুহূর্তে আমাদের কিছুটা সময় প্রয়োজন। আমরা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি, সঠিক পথেই এগোচ্ছি। এজন্য আমি সমর্থকদের ধৈর্য ধরতে অনুরোধ করব।’
আরও পড়ুন: আবারও নিষেধাজ্ঞার কবলে তাওহীদ হৃদয়

এদিকে, বাইরের নানা বিতর্ক থেকেও দলের মনোযোগ বিচ্যুত হয়নি। বিশেষ করে ডিপিএলে তাওহিদ হৃদয়ের শাস্তির বিষয়টি নিয়ে চলমান আলোচনা, কিন্তু কোচ সিমন্স জানান, এসব বিষয়ের মধ্যে বাংলাদেশ দল কোনো মনোযোগ দিচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ক্রিকেটারদের মাঠের বাইরের আলোচনাগুলো থেকে দূরে রাখতে চেষ্টা করছি। চট্টগ্রাম টেস্টে আমাদের পুরো মনোযোগ, এবং এই ম্যাচে ভালো করতে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
চট্টগ্রামের উইকেটে বাংলাদেশ কেমন খেলবে, সেটা এখন বড় প্রশ্ন। সিলেট টেস্টে ব্যাটিং ধসই বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিয়েছিল। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯১ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর পরের ইনিংসে ২৫৫ রানই সর্বোচ্চ হতে পেরেছিল। সিমন্সও সিলেটের ব্যর্থতার কথা মেনে নিয়ে বলেন, ‘আমরা ম্যাচে প্রথম ইনিংসেই পিছিয়ে পড়েছিলাম, এবং এর ফলস্বরূপ পরবর্তী ইনিংসে তেমন প্রতিরোধ গড়তে পারিনি।’
আরও পড়ুন: রান তুলতে ঝুঁকি নিতেই হয়, জাকেরের স্পষ্ট জবাব

তবে হতাশার মাঝেও আশার কথা শোনাতে ভুলেননি সিমন্স। তিনি বলেছেন, ‘আমরা ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে চাই। শুধুমাত্র রান বাড়ানোর চিন্তা নয়, আমরা আক্রমণাত্মক মানসিকতা গড়ে তুলতে চাই। উন্নতি করতে কিছুটা সময় তো লাগবেই, তবে আমাদের লক্ষ্য সুদূরপ্রসারী।’