২০১৫ বিশ্বকাপে চোটের পর থেকেই জাতীয় দলের সঙ্গে এনামুল হক বিজয়ের দূরত্ব বেড়েছে৷ জাতীয় দলের হয়ে যতটা না সুযোগ পেয়েছেন, তার চেয়ে বেশি সময় বাইরে থাকতে হয়েছে তাকে। সাদা কিংবা রঙিন পোশাকে এখনো থিতু হতে পারেননি৷ সর্বশেষ ফের টেস্ট দলে ডাক পড়েছে তার৷ দলে সুযোগ পেলেও একাদশে থাকবেন কি না, সেই নিশ্চয়তা নেই এখনো।
অবশ্য এনামুল হক বিজয়কে টেস্ট দলে ভেড়ানোর পেছনে রয়েছে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স। বিসিবি’র প্রধান নির্বাচকও বলেছেন সেই কথা৷ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট, লিস্ট ‘এ’, টি-টোয়েন্টি—সব মিলিয়ে ৫১ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। গত পরশু মিরপুরে স্বীকৃত ক্রিকেটে ৫১তম সেঞ্চুরির মালিক হয়েছেন তিনি৷ কেবল চলতি ডিপিএলেই বিজয় করেছেন ৮৭৪ রান। যেখানে তার গড় ৭৯ দশমিক ৪৫। আছে ৪টি করে ফিফটি এবং সেঞ্চুরি। যার অর্থ, ইনিংস বড় করার সামর্থ্যটা বেশ ভালোই রপ্ত করেছেন ৩২ বছর বয়সী এই ডানহাতি ব্যাটার৷ এমন পারফরম্যান্স নজর এড়ায়নি বিসিবির৷ ডাকা হলো টেস্ট দলেও৷

তবে চট্টগ্রাম টেস্টে দলে থাকবেন কি না, তা নিশ্চিত করে বলার উপায় নেই। দলে থাকার বিষয়টি বিসিবি’র ওপরেই ছেড়ে দিতে চান তিনি৷ দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি পত্রিকাকে একান্ত সাক্ষাৎকারে বিজয় বলেন,‘আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে গেছি। কখনো বুঝতে পারিনি, একাদশে থাকছি না কেন; আবার হঠাৎ দলে ডাকও পাচ্ছি। আমি কারও বিরুদ্ধে কথা বলতে চাই না। জাতীয় দলে রাখা, না-রাখা সম্পূর্ণ বিসিবির বিষয়। শুধু এটুকু বলতে পারি, নিজের প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি রাখিনি। আমি সঠিক ছিলাম। নিজেকে পূর্ণ প্রস্তুত মনে হয়েছে।’
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় টেস্টের দলে ডাক পেলেন বিজয়
বাংলাদেশের জার্সিতে বিজয় সর্বশেষ টেস্ট খেলছেন ২০২২ সালে৷ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওই সিরিজে ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি তিনি৷ তবে রঙিন পোশাকে সর্বশেষ খেলেছেন ২০২৪-এর মার্চে। চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে ২২ বলে ১২ রান করেছিলেন তিনি। বাদ পড়তে হয় দল থেকে।

আরও পড়ুন: মিরাজের ফাইফারও আটকাতে পারলো না বাংলাদেশের হার
সমালোচনাও কম শুনতে হয়নি তাকে৷ দলের পরাজয়ে ধীরগতির সেঞ্চুরির জন্য অনেক সময় ‘স্বার্থপর’ তকমাও পেয়েছেন৷ সামাজিক মাধ্যমে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ শিকার হয়েছেন কয়েকবার৷ তবে কখনো দলের চেয়ে নিজেকে বড় করে দেখেননি বলেই মনে করেন বিজয়৷ তিনি বলেন,‘সেলফিশ অপবাদ শুনে মন খারাপ হয়, কষ্টও পাই। তবে সেই কষ্টকে আমি শক্তিতে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করি। প্রতিবারই প্রমাণ করতে চাই, আমি কখনো দলের চেয়ে নিজেকে বড় করে দেখিনি।’