অবশেষে এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে এলো সেই কাঙ্ক্ষিত জয়। ঘরের মাঠে টানা তিন ম্যাচ হারের পর সেই পুরনো চেনা রূপে ফিরল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এবারের আসরে প্রতিপক্ষের মাঠে জয় পেলেও নিজেদের মাঠে জয় পাওয়া হয়নি তাদের। এবার সেই হতাশা কাটালো বেঙ্গালুরু। ভিরাট কোহলির মাইলফলকে এলো সেই জয়। ব্যাটে জ্বলে উঠলেন, গড়লেন নতুন মাইলফলক, আর দলকে এনে দিলেন বহু কাঙ্ক্ষিত জয়। রাজস্থান রয়্যালসকে ১১ রানে হারিয়ে চলতি আইপিএলে প্রথমবারের মতো ঘরের দর্শকদের সামনে জয় পেলো বেঙ্গালুরু।
টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া কোহলি প্রথম বল থেকেই ছিলেন চেনা ছন্দে। নিজের স্ট্রোকের জাদুতে মোহিত করলেন সমর্থকদের, ৪২ বলে খেললেন ৭০ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস। ইনিংসটা শুধু দলের স্কোরবোর্ডে নয়, জায়গা করে নিয়েছে রেকর্ড বইতেও— স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করে সবচেয়ে বেশি ৫০+ ইনিংস এখন কোহলির— ৬২টি। পেছনে পড়ে গেছে পাকিস্তানের বাবরের ৬১।
আরও পড়ুন: লেস্টার ছাড়ছেন কিংবদন্তি ভার্ডি

এছাড়া দেবদূত পাড়িক্কলের ২৭ বলে ৫০ রানের ইনিংসে ছিল সাহস আর শটের দ্যুতি। শেষদিকে টিম ডেভিডের ছোট্ট ক্যামিওতে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৫ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় আরসিবি।
জবাবে রাজস্থানের শুরুটা ছিল আশাব্যঞ্জক। তরুণ ইয়াসভী জাইসওয়াল খেললেন ১৯ বলে ৪৯ রানের একটি প্রাণবন্ত ইনিংস। কিন্তু এরপরই গতি হারাতে থাকে রানচাকা। মিডল অর্ডারে ধ্রুব জুরেল চেষ্টা চালিয়ে যান, ৩৪ বলে ৪৭ রানে শেষ পর্যন্ত থেমে যেতে হয় তাকেও। তবে রানরেটের চাপ আর নিয়মিত উইকেট পতনের ফলে পুরো ২০ ওভার টিকলেও ৯ উইকেটে ১৯৪ রানের বেশি করতে পারেনি রাজস্থান।
আরও পড়ুন: ভারতের পিএসএলের সম্প্রচার বন্ধ

বেঙ্গালুরুর বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন জশ হ্যাজেলউড। অভিজ্ঞ এই অজি পেসার দুর্দান্ত লাইন-লেন্থে বল করে ৪ ওভারে মাত্র ৩৩ রান দিয়ে তুলে নেন ৪টি মূল্যবান উইকেট। তার স্পেলে ধসে পড়ে রাজস্থানের মিডল অর্ডার। সঙ্গে সহায়তা করেন আরেক বোলার ক্রুনাল পান্ডিয়া, ২ উইকেট তুলে নিয়ে চাপে রাখেন প্রতিপক্ষকে।
এই জয়ে ৯ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এল বেঙ্গালুরু। কোহলির রেকর্ড ইনিংস যেমন ইতিহাসে জায়গা করে নিল, তেমনি দলের এই প্রত্যাবর্তনও রয়ে গেল এই মৌসুমের অন্যতম দৃষ্টান্ত হয়ে।