বৃহস্পতিবার, জুন ২৬, ২০২৫
সামি'স কর্নার

ইডেনের ‘নিষেধাজ্ঞা’ নিয়ে মুখ খুললেন হার্শা

ইডেন গার্ডেনের পিচ নিয়ে সমালোচনার জের ধরে হার্শা ভোগলে ও সাইমন ডুলকে কেন্দ্র করে যে বিতর্ক দানা বেঁধেছে, তা যেন এখনো থামার নাম নিচ্ছে না। সম্প্রতি গুঞ্জন ছড়ায়—এই দুই জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকারকে ইডেনে নিষিদ্ধ করতে নাকি কড়া ভাষায় বোর্ডকে চিঠি পাঠিয়েছে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল (সিএবি)।

তবে গুজরাট টাইটানস ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের সর্বশেষ ম্যাচে ইডেনে তাদের না দেখেই এই গুঞ্জনে বিশ্বাস করতে শুরু করেন অনেকে। ম্যাচে মাইকে ভোগলে-ডুলের কণ্ঠ না শুনেই অনুমান, হয়তো সিএবির সেই চিঠির ফলেই বাদ দেওয়া হয়েছে তাদের।

আরও পড়ুন: ৪৪ শটের ম্যাচে বার্সার জয় ১ গোলে

তবে গুঞ্জনের জবাব দিতে সময় নেননি হার্শা ভোগলে। এক্সে নিজের বক্তব্য জানিয়ে তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। বরং তাকে যে ম্যাচগুলোতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেই তালিকায় ছিল না ইডেনের এই ম্যাচটি। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই ধারাভাষ্যকারদের সূচি চূড়ান্ত করা হয়। কলকাতার জন্য নির্ধারিত দুটি ম্যাচের একটি করেছিলেন, তবে অন্যটিতে পারিবারিক কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি।

অন্যদিকে, সাইমন ডুলের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

সবকিছুর সূত্রপাত হয়েছিল গত ২২ মার্চ, আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে। ইডেনে সেই ম্যাচে পিচের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ভোগলে ও ডুল। কেকেআরের হারের পর তারা মনে করেছিলেন, ঘরের মাঠে এমন উইকেট দলকে বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে না। সেই সূত্রে পিচ কিউরেটর সুজন মুখার্জীর সঙ্গে তর্কেও জড়ান তারা।

ভোগলে পরবর্তীতে বলেন, তিনি চান এমন উইকেট যেখানে ঘরের দল লড়াই করতে পারে, অথচ সেটি যেন ১২০ রানের ম্যাচে পরিণত না হয়। ডুল আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, ফ্র্যাঞ্চাইজি যা চায়, কিউরেটরের উচিত সেই চাহিদা মেনে চলা। নইলে দলটি যেন বিকল্প মাঠ খুঁজে নেয়।

আরও পড়ুন: ফি’ক্সিংয়ের অভিযোগ উড়িয়ে দিলো রাজস্থান

এই মন্তব্যেই চটেছে সিএবি। তারা মনে করে, সুজন মুখার্জী বোর্ডের নির্দেশনা মেনেই পিচ প্রস্তুত করেছেন। তাই নিজেদের মর্যাদা রক্ষার্থে বিসিসিআইয়ের কাছে ওই দুই ধারাভাষ্যকারকে ইডেন থেকে দূরে রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

তবে সব বিতর্কের মাঝেই ইডেন গার্ডেন এখন প্রস্তুত আইপিএলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাতের জন্য। ২৫ মে সেখানেই বসবে ফাইনালের মহারণ। সেই ম্যাচে ভোগলে বা ডুল থাকবেন কি না, তা এখনো অজানা। সিদ্ধান্ত নিতে এখন বিসিসিআইয়ের পালা।

আরও খবর

একটি মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ খবর

জনপ্রিয় খবর