মিরাজের ফাইফারে দ্বিতীয় দিন শেষে কিছুটা স্বস্তিতে টাইগাররা। প্রথম দিনে ব্যাটিং-বোলিং দুই ডিপার্টমেন্টেই হতাশ করা শান্তর দল এবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে ম্যাচের দ্বিতীয় দিনেই। সফরকারী জিম্বাবুয়েকে ২৭৩ রানে অলআউট করে টাইগাররা দিনশেষ করেছে ১ উইকেটে ৫৭ রান নিয়ে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ২৫ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন মাহমুদুল হাসান জয় ও মুমিনুল হক।
আরও পড়ুন: ২২ রানের লিড নিয়ে চা বিরতিতে বাংলাদেশ
আগের দিনের ব্যর্থতা পুষিয়ে দিতে এদিন শুরুতেই ভালো করতে হতো টাইগারদের। ঠিক সেটাই যেন করলেন নাহিদ রানা। দিনের তৃতীয় ওভারেই ওপেনার বেন কারানকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান নাহিদ। গতি দিয়ে কাবু করেন কারানকে। নাহিদের বাউন্সারে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন কারান। বেন্নেটকে বিদায় করতেও খুব বেশি সময় নষ্ট করেননি এই পেসার। ৫৭ রান করা জিম্বাবুয়ের এই ব্যাটার নাহিদের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন।
মাঝে দুই বল বিরতি দিয়ে আবারো টাইগারদের আঘাতে পতন হয় নিক ওয়েলচের। দিনের শুরুতেই তিন উইকেট হারিয়ে তখন কিছুটা ব্যাকফুটে জিম্বাবুয়ে। তবে সেখান থেকে দলকে টেন তোলেন অভিজ্ঞ ব্যাটার শন উইলিয়ামস। প্রথমে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন ও পরে মাধেভেরের সাথে চল্লিশোর্ধ্ব দুটি জুটিতে টাইগারদের সংগ্রহের কাছে নিয়ে আসেন উইলিয়ামস। শেষ পর্যন্ত দলকে লিড এনে দিয়েই প্যাভিলিয়নে ফেরত গেছেন এই ব্যাটার। দলীয় সর্বোচ্চ ৫৯ রানও এসেছে তার ব্যাট থেকে।
আরও পড়ুন: নাহিদ-হাসানদের দাপটে সকালের সেশন বাংলাদেশের
তবে মেহেদী মিরাজের ঘূর্ণি জাদুতে স্বস্তি পেতে শুরু করে বাংলাদেশ। সম্ভাবনা জাগে অল্পতেই জিম্বাবুয়েকে অলআউট করার। তবে শেষ দুই উইকেট জুটিতে টাইগারদের অপেক্ষার পালা বাড়িয়ে ৫০ রান তুলে ফেলে সফরকারীরা। শেষ পর্যন্ত ২৭৩ রানে থেমেছে জিম্বাবুয়ে। ৮২ রানের লিড নিয়ে প্রথম ইনিংস শেষ করলো সফরকারীরা। ভিক্টর নিয়াউচিকে শেষ উইকেটে বিদায় করে ইনিংসে ফাইফার পূর্ণ করেন মিরাজ। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের পর এই প্রথম দেশের মাটিতে ৫ উইকেট নিলেন এই তারকা অলরাউন্ডার। এছাড়া নাহিদ রানা তুলেছেন তিনটি উইকেট।
জবাবে ব্যাট হাতে দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ সাদমান। প্রথম ইনিংসে ১২ রান করা এই ব্যাটার দ্বিতীয় ইনিংসে দুই অংকের ঘরেও পৌঁছাতে পারলেন না। ব্লেসিং মুজারাবানির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন এই ব্যাটার। আউট হবার আগে তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র চার রান। অল্পতেই বিদায় হবার উপক্রম হয়েছিলো মাহমুদুল হাসান জয়েরও। তবে মুজারাবানি বলে ক্যাচ তুলে দিলেও উইকেটকিপার নিয়াশা মায়াভোর সেটি তালুবন্দী করতে ব্যর্থ হন।
দিনের শেষ ভাগে এসে কিছুটা মারমুখী ভঙ্গিতেই খেলতে থাকেন মুমিনুল ও জয়। আর তাতে করে দিনের খেলা শেষ হবার আগেই পঞ্চাশ পেরিয়ে যায় টাইগাররা। ১৩ ওভারে ৫৭ রানে ১ উইকেট হারিয়ে দিনের সমাপ্তি ঘটান জয় ও মুমিনুল। ৪২ বলে ২৮ রানে অপরাজিত আছেন জয় ও মুমিনুলের ব্যাটে আসে ২৬ বলে ১৫ রান।