সিলেট টেস্টের প্রথম দিনেই চাপে পড়ে গেছে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা যেমন বাজে ছিল, শেষটাও হলো তেমনই হতাশার। মাত্র ১৯১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশের ইনিংস। জবাবে ব্যাট হাতে শুরুটা দুর্দান্ত করেছে জিম্বাবুয়ে, দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগেই ৬৭ রান তুলে ফেলেছে কোনো উইকেট না হারিয়ে।
দিনের শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে হতাশা লুকাতে পারেননি বাংলাদেশ দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। উইকেট কিংবা কন্ডিশনের পেছনে দায় না চাপিয়ে তিনি সোজাসাপ্টা স্বীকার করেছেন, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দিক থেকেই ছিল বড় ঘাটতি।
আরও পড়ুন: মাঠে না হোক, মানসিকতায় নাকি বদলাচ্ছে টাইগাররা!

“উইকেট নিয়ে কিছু বলার নেই। জিম্বাবুয়ে তো ব্যাট করে দেখিয়েছে। আমাদের ব্যাটারদের মধ্যে অস্বস্তি তেমন একটা দেখিনি, কিন্তু সঠিক সময়ের সিদ্ধান্তগুলো নিতে পারিনি। ব্যাটিং পরিকল্পনায় ভুল ছিল, সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই,”— বলেছেন সালাউদ্দিন।
শুরুতেই দুই ওপেনারের বিদায়ের পর শান্ত ও মুমিনুল চেষ্টা করেছিলেন হাল ধরতে। কিন্তু সেই জুটিও টেকেনি বেশি সময়। এরপর যেন ধসে পড়ে গোটা ইনিংস। ব্যাটারদের মনোযোগ, শট নির্বাচন কিংবা ম্যাচ পরিস্থিতি বুঝে খেলার জায়গায় বড় ঘাটতির কথা উঠে এসেছে কোচের মুখে।

“আমরা খেলা গড়ছি, তারপর হঠাৎ করেই এমন শট খেলছি যেটার দরকার ছিল না। এটা পুরোপুরি মানসিক প্রস্তুতির অভাব। এই জায়গাটায় দ্রুত কাজ করতে হবে। অন্য ফরম্যাটে এক ইনিংসে সব শেষ, কিন্তু টেস্টে দ্বিতীয় সুযোগ থাকে, সেটাই আমরা কাজে লাগাতে পারছি না।”
জয়ের আউট, মুমিনুলের সেট হয়েও আত্মসমর্পণ, মুশফিকের অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও ভুল শট— এসবই যেন একই চিত্রের পুনরাবৃত্তি। ম্যাচ সচেতনতার অভাবের প্রশ্নে সালাউদ্দিন বলেন, “ঘাটতি যে আছে, সেটা অস্বীকার করার কিছু নেই। আমাদের এখন মূল কাজ হচ্ছে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজে বের করা।”
আরও পড়ুন: চিন্নাস্বামীর আক্ষেপ ভুলিয়ে কোহলির রেকর্ড, জিতল বেঙ্গালুরু

তিনি আরও বলেন, “ভুল হতেই পারে। কিন্তু একই ভুল বারবার করা চলবে না। যত দ্রুত সম্ভব এসব জায়গায় উন্নতি আনতেই হবে।”