নতুন কিছু দেখানোর আশ্বাস ছিল অধিনায়কের মুখে। আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন, এবার বদল আসবে বাংলাদেশ দলের খেলা ও মানসিকতায়। কিন্তু বাস্তবে সিলেট টেস্টের প্রথম দিনেই দেখা গেল একেবারে বিপরীত চিত্র। মাত্র ১৯১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ দল, আর জিম্বাবুয়ে প্রথম দিন শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে তুলে ফেলেছে ৬৭ রান।
মাঠের চিত্রে ‘নতুনত্ব’ শব্দটা ছিল নিখোঁজ, বরং চোখে পড়েছে পুরনো দুর্বলতা— নাজুক টপ অর্ডার, মাঝারি মানের রক্ষণের চেষ্টা আর বল হাতে আগ্রাসনের ঘাটতি। তারপরও ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ভিন্ন এক দৃষ্টিভঙ্গি সামনে আনলেন। তার চোখে নতুনত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে মানসিকতায়, মাঠের পারফরম্যান্সে না হলেও ড্রেসিংরুমের ভিতরে।
আরও পড়ুন: রনির সেঞ্চুরিতে সুপার লিগে প্রথম জয় মোহামেডানের
‘অধিনায়ক কী বলেছেন জানি না,’— এমন এক বাক্য দিয়েই সংবাদ সম্মেলনে নিজের কথা শুরু করেন সালাউদ্দিন। এরপর যোগ করেন, ‘আমি যা দেখেছি, তা হলো ছেলেরা নতুন কিছু করার জন্য মুখিয়ে আছে। তারা আগের চেয়ে অনেক বেশি আত্মসমালোচনায় মনোযোগী। আজ খারাপ হয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু তাতে এটা বলা যায় না যে ওদের মধ্যে উন্নতির ক্ষুধা নেই।’
সালাউদ্দিনের মতে, খারাপ দিনে শুধুই সমালোচনা নয়, প্রয়োজন ইতিবাচক দিকগুলো খুঁজে বের করে সামনে এগিয়ে যাওয়া। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি কোথায় ঘাটতি, সেগুলো কাটিয়ে উঠতে প্রতিদিন কাজ করছি। আজ ব্যাটিং ভালো হয়নি, বোলিংও সেই মানের ছিল না। তবে এখান থেকেই আমাদের ফিরতে হবে। লক্ষ্য পরের ম্যাচেই নিজেদের প্রমাণ করা।’
আরও পড়ুন: সুপার লিগে টানা দুই জয় আবাহনীর
একদিনের ব্যর্থতা দিয়ে পুরো দলকে ছেঁটে ফেলার পক্ষে নন সালাউদ্দিন। তার কথায় ফুটে ওঠে দীর্ঘমেয়াদি ভাবনার ছাপ— এই দল তৈরি হচ্ছে, শিখছে, আর অভিজ্ঞতা থেকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। হয়তো ফল তাৎক্ষণিক আসছে না, কিন্তু ভিতরে তৈরি হচ্ছে এক নতুন বাংলাদেশের ক্রিকেট দল, যার জন্য সময় আর ধৈর্যই হতে পারে সবচেয়ে বড় উপায়, এমনটাই অভিব্যক্তি টাইগারদের গুরু সালাউদ্দিনের।